বাগেরহাট, জেলা প্রতিনিধিঃবাগেরহাটে জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, ভোলায় ছাত্রদল সভাপতি খুন ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিকাল ৩টায় বাগেরহাট পৌর বিএনপির আয়োজনে শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম গোরা প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় শেষ হয়। মিছিলে বাগেরহাট জেলা ও সদর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদল,মহিলা দল, ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশ স্থলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। বিক্ষোভ মিছিলের সামনে ও পিছনে ছিল পুলিশ সদস্যদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।এদিকে মিছিল ও সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম।
তিনি বলেন, সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা আমাদের উপর সসস্ত্র হামলা করে। তাদের হামলায় আহত হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান সহ ফকিরহাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এসকে বদরুল আলম, শরণখোলা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ফিরোজ তালুকদার, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি ফকের গাজী, সাধারন সম্পাদক বাচ্চু আকন, বাশতলী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি শেখ ফিরোজ কবির, সদর থানা যুবদল নেতা ইয়াছিন মোল্লা বাবু, যুবদল কর্মী রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী মিজান, হোসেন আলী, ছাত্রদল কর্মী মো. আলী তুহিন ও দৈনিক সংবাদ সারাবেলার বাগেরহাট প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান শিমুল প্রমুখ।
আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও উপজেলা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।এছাড়া বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার জাকির হোসেনের বাড়িসহ বেশকিছু নেতাকর্মীর বাড়িঘর ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর একঘন্টা ধরে কলেজ রোড়, সম্মেলনী স্কুল মোড়, পিসি কলেজ, মেডিকেল স্কুল সড়ক, নূর মসজিদ রোড, এলজিডি মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামল চালিয়েছে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান বলেন, সব থেকে দু:খজনক হচ্ছে পুলিশের সামনে সরকার দলীয় লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।এছাড়াও বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হামলা ও হুমকির ঘটনা অব্যাহত আছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।এঘটনার পরপরই শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।