তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃসুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় বিএনপির কমিটি স্থগিত করে জেলা কমিটির প্রতিনিধি দিয়ে জনসভা সম্পন্ন করেছেন জেলার দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ।আজ ১১ সেপ্টেম্বর তাহিরপুর পুর্ব বাজারে এই জনসভা অনুষ্টিত হয়।জনসভার ব্যানারে প্রধান অতিথি জেলা বি এনপির সভাপতি কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন,প্রধান বক্তা নজির হুসেন, বিশেষ অতিথি জেলা বি এনপির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের নাম থাকলেও তারা স্ব শরিরে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না, বলা হয়েছে তারা শারীরিক অসুস্থতার কারনে জনসভায় যোগ দিতে পারেননি, তাদের অনুপস্থতি সাধারণ নেতা কর্মী সমর্থকদের ব্যাতিত করেছে। কর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালুচনার ঝড়।কেউ কেউ বলছেন দলের চরম দুর্দিনেও নেতাদের গ্রুপিং শেষ হয়না সরকার পতনের আন্দোলন করবে কি ভাবে। উল্লেখ্য তাহিরপুর উপজেলায় ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে তৎকালীন জেলা বি এনপির আহ্বায়ক জননেতা জনাব নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও সদস্য সচিব জনাব কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের উপস্থিতিতে কাউন্সিলারদের ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সম্পূর্ন গনতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জনাব নুরুল ইসলাম কে সভাপতি ও রুহুল আমীন কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জনাব কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন। ২০১৬ সালে বিভিন্ন তারিখে সুনামগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকায় তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা,মধ্য নগর, উপজেলায় বি এনপির কমিটি ঘোষনা করেন তৎকালীন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।
গত ২১ /৫/ ২০২২ তারিখে সুনামগঞ্জ জেলা বি এনপির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল এর সাক্ষরিত জাতীয়তাবাদী দলের একটি পেডে তাহিরপুর উপজেলা কমিটি স্তগিত করেন।
আজ ২০২২ সালে এসে ধর্মপাশা, মধ্য নগর উপজেলা কমিটি বহাল রেখে শুধু মাত্র তাহিরপুর জামালগঞ্জ কমিটি স্তগিত করে, জেলা নেতৃবৃন্দ কে উপজেলার দলিয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়ায় সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জেলা কমিটির প্রতিনিধি কর্তৃক আয়োজিত আজকের জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বি এনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম,বক্তব্য রাখেন জেলা বি এনপির সহ সভাপতি নাদের আহমদ,সহ সভাপতি আনিসুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, সহ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, জেলা বি এনপির মানবাধিকার সম্পাদক রাখার উদ্দিন, জেলা যুবদল আহ্বায়ক আবুল মনসুর শওকত প্রমুখ।
তাহিরপুর উপজেলা বি এনপির অন্যতম নেতা জনাব সাজিদুর রহমান বলেন দলের এই ক্রান্তিলগ্নে এখনো নেতারা তাদের গ্রুপ কে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যাস্ত,তারা কে এমপি হবেন, কে সভাপতি হবেন, কে সাধারণ সম্পাদক হবেন তা নিয়ে ব্যাস্ত,আমরা তৃনমুলের মানুষ যখন সরকারের রুশানলে পড়ে নাশকতার মতো মামলায় জেল খাটি সেদিন অনেক নেতাকেই আমাদের পাশে পাইনি।আজ তারা বড় নেতা।খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা চিন্তা করলে সকলে একসাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রুহুল আমীন জানান, সাংগঠনিকভাবে ২০১৮ সাল থেকেই দলের ব্যত্যয় ঘটে আসছে এটা অশ্বিকার করার কিছু নেই, আমাদের কমিটি স্থগিত কিংবা বাতিল হয়েছে বলে আমি যানিনা, যদি বাতিল হয়ে থাকে তাহলে তারা কমিটি ঘোষণা করুক। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের চলমান কমিটিকে স্থগিত করে সকল কার্যক্রম জেলা বিএনপি পরিচালনা করবে যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গঠনতন্র অনুসরন করে আমরা সফলতার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও পালন করবো। আমরা দায়িত্ব পাবার পরে তাহিরপুর উপজেলার সাত টি ইউনিয়নের কমিটি সফলতার সাথে দিয়েছি আমাদের প্রতিটি ইউনিটেই বি এনপির ঘাঁটি। আজকের জনসভায় কর্মীরা হতাশ হয়েছে, তারা বুঝতে পেরেছে একটা চলমান কমিটির সাথে অগণতান্ত্রিক আচরণ করা হয়েছে যাহা জাতীয়তাবাদী দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। সঠিক সময়ে কর্মীরা জবাব দেবে, দলের চরম দুর্দিনে কর্মীকে বুকে আগলে রেখে জুলুম সরকারের নাশকতা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবরন করেছি, বসন্তের কুকিলদেরতো সে দিন দেখিনি, আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করি। আমি এখনো সবাইকে বলবো দলের চরম দুর্দিনে ঐক্যবদ্ধ থেকে আসুন আন্দোলন করি জালিম সরকারের বিরুদ্ধে।
তাহিরপুর উপজেলা বি এনপির স্বজ্জন ও পরিচ্ছন্ন রাজনিতীবিদ উপজেলা বি এনপির বিপ্লবী সভাপতি জনাব নুরুল ইসলাম বলেন ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে গনতান্ত্রিক পক্রিয়ায় কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তৎকালীন জেলা বি এনপির আহ্বায়ক জনাব নাসির উদ্দীন চৌধুরী ও সদস্য সচিব জনাব কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন উপস্থিত থেকে আমাদের কে বিজয়ী ঘোষণা করে কমিটি দিয়ে গেছেন আমরা সফলতার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি,আমাদের কমিটি স্তগিত করেছে কি না আমি জানি না, আমরা অচিরেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের অবস্থান আপনাদেরকে জানাবো।