রাকিব হোসেন,ঢাকাঃচাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অবিলম্বে ৩৫ বছর করার দাবিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর শাহবাগ মোড়ে অবরোধের সময় চাকরিপ্রত্যাশীদের উপর পুলিশ হামলা চালায়। এ হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি পাঠান তারা। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়ন করার দাবি জানান চাকরিপ্রত্যাশীরা।
মানববন্ধনে ৩৫ প্রত্যাশী যুব প্রজন্মের সাজিদ সেতু বলেন, আন্দোলনে যারা আছে তাদের অনেকে ক্যাম্পাস জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। অথচ আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ দিয়ে হামলা করে সহিংস করে তুলছে। এতে সরকার বিরোধী করে তুলছে সরকার। দেশে সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী করোনার কারণে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারেনি। এই দায় ছাত্র সমাজের নয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই আন্দোলন করে আসছি। একাধিকবার বলা হয়েছে এই দাবি মেনে নেওয়া হবে। অনেকেই বলেছে এই দাবি যৌক্তিক। কিন্তু এখনো কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে বহিস্কার হয়েছিলেন। আজ আমাদেরকে অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে হয়েছে। আমরা রাজনীতি বুঝতে চাই না। আমাদের ভোটের মাধ্যমে আপনি ক্ষমতায় এসেছেন। আমরা আমাদের অধিকার বাস্তবায়ন চাই। আমরা সবকিছু উপেক্ষা করে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে ভোট দিয়েছিলাম। আমাদের অধিকার বাস্তবায়ন না হলে আগামী নির্বাচনে আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ প্রত্যাশী যুব প্রজন্মের মো. তানভীর হোসেন, সানিয়া সুমি, আসিফ হাসান, রাজ্জাক হাবিব, রবিউল বনি, রেজোয়ানা সুলতানা, সঞ্জয় সরকার, আব্দুল গাফফার, মর্তুজা হাসান, শ্রীসান মিঠু, পিন্টু সরকার, জহিরুল জনি, কিশোর সাহা, শাওন সোমা, তাসলিমা লিমা, আনোয়ার জনি, রাহান মাসুদ, কামরুল হাসান, পার্থ পাল, ফারহা জুবায়ের, মোশারফ পাঠান, মুক্তা সুলতানা, তুফায়েল আহম্মেদ, জোবায়েদ মোল্লা, সোহেল শেখ, এম রাজন, মো. বোরহান প্রমুখ।