ভূরুঙ্গামারী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের আরো দুই শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে আটক করা হয়েছে। বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হলেও পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ওই বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে এদের কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচীবসহ মোট ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচীব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবায়ের হোসাইনকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে এজাহার নামিয় আসামী অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতাক রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, এঘটনায় মহাপরিচালকের পক্ষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষকদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত কেউ রেহাই পাবেনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোঃ ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম ইতিমধ্যে ভূরুঙ্গামারী রওয়ানা হয়েছে। তদন্তটিমের অন্য সদস্যরা হলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) প্রফেসর মোঃ হারুন অর রশিদ মন্ডল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ আকতারুজ্জামান।
।দায়িত্ব অবহেলার কারনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত হলেন।এ আদেশ জারি করেছেন ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার,কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস,উপপরিচালক সাধারণ প্রশাসন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় নতুন করে আরও ৩জনকে আটক করে কুড়িগ্রাম কাের্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে