রাম বসাক,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জঃ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালি মণীষার অন্যতম প্রতিনিধি প্রফেসর নাসিম উদ্দিন মালিথার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির মিলনায়তনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, রবীন্দ্র গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা পরিষদের আয়োজনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম-এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-০৬ সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোঃ আব্দুল বাতেন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো: আরিফুর রহমান মণ্ডল।
স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ নূর আলম, শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র জনাব মনির আক্তার খান তরু লোদী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা পরিষদের আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুর রফিক ও কাজী ওবায়দুল হক শওকত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি বলেন, প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা ছিলেন শাহজাদপুরের অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক উজ্জ্বল বাতিঘর। শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনে রবীন্দ্র অনুরাগীজন হিসেবে তিনি সমাদৃত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা ছিলেন মহান শিক্ষক, যিনি মহৎ আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছেন পরবর্তী প্রজন্মকে। শিক্ষক হিসেবে, একজন সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে তিনি তাঁর কর্তব্যে অবিচল নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাঁর প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে, তা প্রতিপালনের মাধ্যমেই আমরা তাঁকে যথাযথ সম্মান জানাতে পারবো। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁর যে অনুরাগ ছিলো, আমরা তা অনুভব করি। বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রফেসর মালিথার যে অনুরাগ ও অনুধাবন তা এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুসরণীয় বলে রবি উপাচার্য উল্লেখ করেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডিআইজি জনাব মোঃ আব্দুল বাতেন বলেন, মহান মানুষকে সম্মান জানানোর মধ্যে একটি শিক্ষা আছে। গুণী মানুষের কদর করলে সমাজে গুণী মানুষের উদ্ভব ঘটে। প্রফেসর নাছিম উদ্দিন মালিথার মতো মানুষদের জন্যই সমাজ তার প্রবহমানতা বজায় রাখতে পেরেছে।
প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, কবি, রবীন্দ্র গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। স্মরণসভায় বক্তারা প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথার জীবন ও কর্ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন এবং শেষে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বাদ আসর মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিসিক বাসস্ট্যান্ডের ওয়ারেছিয়া কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে দোয়ার আয়োজন করা হয়।