মোঃ সিফাত হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে ভুয়া ডাক্তার সেজে হাত অপারেশনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের চান মিয়া সিকদারের ছেলে আঃ রহিম সিকদার(৪৫) এর বিরুদ্ধে। পেশায় তিনি বরিশালের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ওটি বয় ছিলেন।
এ ঘটনার জেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ৩ অক্টোবর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম গরুর খড়কুটো কাটার মেশিনে ডান হাতের শাহাদৎ আঙ্গুল ও টেন্ডুলির রগ কেটে গেলে তার চাচাতো ভাই হান্নানকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হাতের অবস্থা খারাপ দেখে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সে অনুযায়ী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে টিকিট কাটার পর OT তে নেয়ার পূর্বে হান্নানকে আঃ রহিম নামের একজন ফোন করে বরিশালের বাজার রোডে কেএমসি হাসপাতালে নিয়া যাওয়ার জন্য বলে। সেখানে আঃ রহিম সিকদার সাইফুলের হাতের কাটা স্থান ভুলভালভাবে সেলাই করে দেন এবং কোন প্রেসক্রিপশন না দিয়ে মুখস্থ কিছু ঔষধ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু দিন যায় হাতের অপারেশনের জায়গায় ব্যাথা বাড়তে থাকে ও ফুলে ওঠে। ব্যাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীতে ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীনকে দেখালে ওই দিনই বরিশালে ইসলামিয়া হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মনিরুল আহসানের কাছে রেফার করেন। তিনি সেলাই কেটে পুনরায় নতুন করে সেলাই করে দেন।
ডাঃ মীর শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, আমার কাছে সাইফুল নামের রোগী আসলে তার হাতের অপারেশন পারফেক্টলি হয়নি মনে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে একজন সার্জারী বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে বলি।
কেএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একজন বলেন, তদন্তের জন্য দারোগা এসেছিল এবং তাকে ওর (রহিমের) সকল ঠিকানা দিয়ে দিছি।
ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, রহিম ভুয়া ডাক্তার সেজে আমার ডান হাতটি চিরকালের জন্য পঙ্গু করে দিল। আমি ওর বিচার চাই যেন সে আমার মত আর কারো জীবনকে অন্ধকার করে না দেয়।
অভিযুক্ত আঃ রহিম সিকদার বলেন, আমার কাছে হান্নান নিয়ে আসলে আমি সাইফুলের হাত সেলাই করিনি, আমি তো আর ডাক্তার নই। আমি শুধু রক্ত ও ময়লা পরিস্কার করে ব্যন্ডেজ করে দিয়েছি।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার এস আই মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান আছে।