মোঃ কবির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ আমাদের দেশে বেকার সমস্যা সমাধান করে জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক অনেক পেশা বেচে নেন । আবার অনেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকুরী না পেয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে জড়িয়ে পড়েন নানামুখী পেশার দিকে । ব্যবসা, মৎস চাষ, গরুর খামার , মুরগী , হাঁসের খামার দিয়ে আর্থিকভাবে এগিয়ে যেতে চান অনেক যুবক । কেউ কেউ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব পেশার সাথে জড়িত হয়ে দেশ ও সমাজে একজন উদ্যেক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠািত হয়েছেন ।
অনেকে আবার সাম্প্রতিক এইসব পেশায় আত্ননিয়োগ করেছেন। সরকার যদি এইসব পেশার সাথে যে সকল যুবক জড়িত তাদের যদি সরকারি ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন তাহলে সমাজ থেকে অনেকাংশে বেকার সমস্যা দুর হওয়ার সাথে সমাজের অনেকটা উপকার হওয়া সহ আর্থিকভাবে এরা লাভবান হবে ।
আমাদের দেখা মেলে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের যুবক মোঃ মাসুদ (৩০) সাথে তেতুলিয়া নদীর পাড়ে । একসময় তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন । হঠাৎ করে সরকারের মৎস বিভাগ, প্রশাসন তার তিন লক্ষ টাকার জাল আগুনে পুড়ে ফেলে অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞার ভিতরে তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করার অপরাধে।
পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে হাঁসের খামার করার উদ্যেগ নেন । পরিবারের মুখে রুটি রুজির জোগান দিতে এই পেশা বেচে নেন । বিগত তিন বছর ধরে তিনি এ পেশায় জড়িত । দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই হাঁস ক্রয় করে মাসুদ এই পেশা শুরু করেন। বর্তমানে তার হাঁসের খামারে ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ)দেশী প্রজাতির হাঁস আছে । প্রতিদিন চারশত ডিম দেয় । মাসুদ বলেন এখন একটু কম ডিম পাড়ে , এখন দেড় শতাধিক ডিম পাড়ে । হাঁসের পরিচর্যা তিনি নিজেই করেন , আর হাঁসের রোগ বালাই নির্মূল পরামর্শ , বিভিন্ন ভ্যাকসিন দেয়া এসব উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর (পশু হাস্পাতাল) থেকে সহযোগিতা নেন। আলাপের সূত্র ধরে জানা যায়, মাসুদ বলেন সরকার যদি তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে তাহলে তিনি একজন সফল হাঁসের খামারী ও উদ্যেক্তা হতে চান।