লিপন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার সাবিয়া নগর এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী রাতুল ও বিকাশ নামের ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করছে ভোক্তভোগী পরিবার। ১৫ অক্টোবর দুপুর ১২ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিট কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীর পরিবারের ডালিয়া,ইয়াসমিন, কামরুল সাংবাদিকদের জানান, অষ্টগ্রাম উপজেলার সাবিয়া নগর এলাকার মৃত মন্নাফের ছেলে মো: আমিনুল হক বাবুল দীর্ঘদিন যাবত আমাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। গত ২৪/৪/২০২২ ইং সকালে আমাদের বাড়িতে হামলা করে, ডালিয়া আক্তারকে মার-ধর ও শ্লীলতাহানী করে উক্ত ঘটনায় আমি অষ্টগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করি যাহার নং ০৪/১৬/০৬/২০২২ জি . আর নং ৫৫(২)২২। এই মামলায় বাবুল জেল হাজতে ছিলেন। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে। গত ২৯/০৮/২০২২ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ ৪নং জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহার নং ২৬২/২২। ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রট আদালত নং ২ আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহার নং৫৮২/২২ তারিখ ৩০/০৮/২০২২ ইং। এবং বাবুলের ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে প্রিয়াকে ভিকটিম করে
আমাদের ২ পরিবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৬ বছরের রাতুলকে ১৯ বছর দেখিয়ে ও ১৫ বছরের বিকাশকে ২০ বছর দেখিয়ে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনার ২ এ আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহার পিটিশন নং ৯৮/২০২২ ইং উল্লেখ্য যে বাবুল ও তার স্ত্রী দিপা এবং তাদের মেয়ে প্রিয়া আক্তার ১৩ মিলে রাতুলের পরিবার ও আমার পরিবারকে হয়রানি করে আমাদের জমি দখল করার পায়তারা করে চলছে। অন্যদিকে নারী ও শিশু মামলাটির তদন্তটি অষ্টগ্রাম সমাজ সেবা অফিসে আসলে নাফিজুল হক শাওন আমাদের নিকট (২০) হাজার টাকা দাবি করে আমরা ৫ হাজার
টাকা দেই, দাবি কৃত বাকী ১৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় তদন্ত রির্পোটি আমাদের বিরোদ্ধে দিয়েছেন বলেও দাবি করে কামরুল । প্রকৃতপক্ষে প্রিয়ার বাবা বাবুল ও বিকাশের বাবা আপন ২ ভাই এবং রাতুলের বাবা বাবুলের সৎ ভাইজমি সংক্রান্ত বিরোদের জেরকে কেন্দ্র করে এসব মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে আমাদের হররানি করছে। বাবুল জমির কারণে আপন বোন ইয়াসমিনকেও ১ বছর পৃর্বে মারদর করে পা ভেঙ্গে দিয়েছিল স্হানীয় বাবুল সিন্ডিকেট এ ঘটনার মামলা হতেও দেয়নি বলে অভিযোগ করেন ইয়াসমিন । অদ্যবধি পর্যন্ত বোনকে তার প্রাপ্য জমিও বুঝিয়ে দেয়নি। আসছে শুকনো মৌসুমে ফসল ফলাতে আমরা ৩ পরিবারের সদস্যারা মাঠে ফসল ফলাতে গেলে বাবুল গংরা আমাদের উপর পূনরায় হামলা করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।