সুরাইয়া পারভীন সাথীঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৩১১ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রনজু পেয়েছেন ( ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে ২৪৯ ভোট। তাছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত আসনে (টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে) নির্বাচিত হন মোসাম্মৎ বিথী খাতুন, ২ নম্বর মহিলা সংরক্ষিত আসনে (বই প্রতীক নিয়ে) নির্বাচিত হন মোসাম্মৎ কোহিনূর বেগম। চুয়াডাঙ্গা সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা ২ নম্বর আসনে (তালা প্রতিক নিয়ে) নির্বাচিত হন মজনুর রহমান, দামুড়হুদা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে) নির্বাচিত হন সিরাজুল ইসলাম, জীবন নগর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (হাতির প্রতীক নিয়ে) নির্বাচিত হন মুসাবুল ইসলাম লিটন। এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন শুরু হয় । জেলার ৪ উপজেলায় ৪টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শেষ হয় বেলা ২ টায়।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সদস্য পদে ১৬ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রতিযোগিতা করছেন। মোট ৫৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন চুয়াডাঙ্গা সদরসহ ৪ উপজেলার ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাছাড়াও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া,আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম তারিক উজ-জামান, জীবননগর ভূমি অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র। আলমডাঙ্গা ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি।