এস এম সোহেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে, নিরাপদে, স্বল্প সময়ে অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম জাহাজ। চাল, চিনি, তেল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপ, জামা-কাপড় এমন কিছু নেই যেটা জাহাজে রপ্তানি -আমদানি হয়না। মোট কথা বলা চলে বিশ্ব বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণে অন্যতম নির্ভরযোগ্য বাহন হল বাণিজ্যিক জাহাজ।
এসকল বাণিজ্যিক জাহাজ একদেশ থেকে অন্য দেশে নেয়ার দায়িত্ব পালন করে যারা তাদেরকে মেরিনার(ক্যাডেট) বা জাহাজী বলা হয়। যাদের কাজ হচ্ছে পন্য বা যাত্রীবাহী জাহাজ (মার্চেন্ট শীপ) পরিচালনা করা।
এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনায় যুক্ত আছেন বাংলাদেশের অসংখ্য যুবক।এসকল দায়িত্বরত যুবকের বেশি অংশই দক্ষিণাঞ্চলের। রোমাঞ্চকর সমুদ্র জীবন, দ্রুততম সময়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো, বিশ্ব ভ্রমন আরও অনেক কারনে দক্ষিণাঞ্চলের তরুন প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এ পেশাটি।
তবে সম্প্রতি আমাদের উত্তরাঞ্চলের যুবকরাও এ পেশায় যুক্ত হতে শুরু করেছে।জানা গেছে সম্প্রতি একটি বাণিজ্যিক জাহাজের নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন গোবিন্দগঞ্জের তাহমিদুর রহমান তোহা নামে এক যুবক। তোহা গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ঝিলপাড়া মহল্লার মেজবাউল হোসেনের পুত্র। সে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০১৭ সালে এসএসসি, ২০১৯ সনে টাঙ্গাইলের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি ও চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে মেরিন ইন্জিনিয়ারিং প্রিসি ক্যাডেট কোর্স সম্পূর্ণ করেন।
এ বিষয়ে কথা হলে তোহা জানায় এ বছরই চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি হতে আমার ক্যাডেট কোর্স সম্পূর্ণ হয়।এরপর কর্ণফুলী লাইনের MV SITC Jakarta নামে কন্টেইনারবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেটে নিয়োগ পেয়েছি, আগামী ১৩ই ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুর থেকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
সচারাচরতো উত্তরআঞ্চলের যুবকদের এ মেরিন পেশায় যোগ দিতে দেখা যায় না তবে আপনি কেন এ পেশায় যাচ্ছেন এবং কোথায় থেকে উৎসাহ পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তোহা জানায়- বিভিন্ন সময় টিভিতে দেখতাম বিশ্ব ভ্রমণ, নীল আকাশ, নীল সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, মাঝ দরিয়ার বুক শীতল করা বিশুদ্ধ বাতাস এসকল দৃশ্য দেখে এ মেরিন সেক্টরের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।সেকারণেই মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হই এবং মেরিনে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখি জানায়।