মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৫ম শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , বাক, শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা শিশুরা আনন্দ মুখর পরিবেশে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পরীক্ষা দিতে। এই সব শিশুরা সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে দেখে বুঝার সুযোগ নাই যে তাঁরা বিশেষ চাহিদা বঞ্চিত শিশু। অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এই সব শিশুদের তাঁদের বাবা মা আত্মীয় স্বজনরা ঘড় থেকে বের হতে দিতেন না, তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সব শিশুদের বাবা মাদের বুঝিয়ে নিজ খরচে অত্র স্কুলে নিয়ে আসেন, এবং খেলার ছলে আদর ভালো বাসা দিয়ে বিশেষ চাহিদা বঞ্চিত শিশুদের লালন পালন করেন এবং তাঁদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ইভেন্ট শিক্ষাদেন। প্রথমে আনা শিশু এবং বর্তমানে বিশেষ চাহিদা বঞ্চিত শিশুদের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাঁদের সামাজিকতা, ধর্মীয় আঁচার আচরণ, খেলাধুলা, নাচ, গান, কাপড় সিলাই থেকে শুরু করে অনেক কিছুই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান শুরুতে ২০/২৫ জন শিশু নিয়ে ঠাকুরগাঁও একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি চালু করেন সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন অত্র প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখা ৪৭০জন ছাড়িয়ে গেছে। নিজের জমানো অর্থ সম্পদ সব এই শিশুদের গড়ে তোলার পিছনে শেষ করেছেন, বর্তমানে তিনি জানান আর্থিক সংকটে আছেন সরকারী ও বে-সরকারী, বিজিবি থেকে কিছু সহযোগিতা পান তা যথেষ্ট না, অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেণ। যেহেতু আমাদের সমাজে এই সব বিশেষ চাহিদা বঞ্চিত শিশুরা অবহেলিত তাই সকলে তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আমাদের এই শিশুরা দেশের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হতে পারবে। আর দশটি শিশুর মত দেশ গড়ায় অবদান রাখতে পারবে, তাই তাঁদের ফেলে না দিয়ে ভালো বাসা দিয়ে গড়ে তুলতে ঠাকুরগাঁও একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করতে এগিয়ে আসি।