মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে সরিষার আবাদ। হলুদের সমারোহ আর মৌমাছিদের কলতানে বর্তমানে সুগন্ধিময় সরিষার ক্ষেত। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষার ক্ষেত দেখে যে কারও মন মুদ্ধতায় মেতে উঠবে। কৃষি বিভাগের সূত্র মতে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে। আর ফলনও ভাল হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। আর কিছুদিনের মধ্যেই সরিষা ক্ষেত থেকে তুলে মাড়াই শুরু করবেন কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ – সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৩৫ মি: টন। এ পর্যন্ত চলমান আবাদের মধ্যে ১৫ হাজার ৬২৩ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৬৩৫ হে: জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ হাজার ৭১১ মেট্রিক টন। আবাদ হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৭৪ হেক্টর জমিতে। সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, গত বছর তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে সরিষা করেছিলেন। দামও পেয়েছিলেন ভাল। তাই এবার বাড়িয়ে এক বিঘা (১শ শতক) জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বছর ২৫ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন, দামও পেয়েছিলেন ভাল। এবছরও তিনি বাড়িয়ে প্রায় দেড় বিঘা (৭৫ শতক) জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এর মধ্যে সরিষা ছোট থাকতেই শাক হিসেবে বিক্রি করেছেন। সরিষার ফলনও ভাল হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ড. মো: আব্দুল আজিজ জানান, জেলায় এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে। গত বছর সরিষার ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেরা সরিষা লাগিয়েছেন বেশি। এ অঞ্চলের সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে। জেলার সরিষা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘানির মাধ্যমে খাটি সরিষার তেল করা হয়; যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবছরও ফলন ভাল হয়ে কৃষকেরা ভাল দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।