এস এম মাসুদ রানা,বিরামপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর বিভিন্ন হাট-বাজার ও পথে পথে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাস এলেই শহর থেকে গ্রামে, হাটে- বাজারে দেখা মেলে ৮/১০ ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে বিক্রি করা এসব পতাকা বিক্রেতাদের।
রয়েছে নানা আকারের পতাকা এবং পতাকার লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল-সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা ও ব্যাচ।
স্থানীয়রা বলেছেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। এর ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু-কিশোরদের।
৫৫ বছর বয়সী আজানুর মোল্লা নামে এমনই এক মৌসুমী পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার পাইককান্দি গ্রামে। তিনি জানান, সারা বছর সংসারে অন্যান্য কাজ করলেও ১লা ডিসেম্বর পতাকা বিক্রি করার জন্য বিরামপুরে এসেছেন। থাকবেন এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, এ সময়টাতে পতাকা, মাথায় ও হাতে বাধার ব্যাচ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী ভালই বিক্রি হতো। তাতে এই ১৫ দিনে পতাকা বিক্রি থেকে আয় হতো প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তুু এবার বিশ্বকাপের খেলা চলার কারণে এ সবের প্রতি তেমন আগ্রহী নেই লোকজনদের। তাই এবার বেঁচা-কেনা কম। তারপরও দিনে ৫/৭শ টাকা বিক্রি হয়।
তিনি আরো জানান, এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে তার। ৬ ফুটের একটি পতাকা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ টাকা দরে।