মোঃ পারভেজ খান,মোংলা প্রতিনিধিঃ মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কৃষি হবে দুর্বার’ এমন শ্লোগানে সামনে রেখে মোংলা উপজেলার,মাছমারা গ্রামে, বুধবার সকালে আমনধান, ব্রিধান-৮৭ জাতের এর নমুনা শস্য কর্তন উপলক্ষে মোংলা পোর্ট পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, জনাব মোঃ মোকাররম হোসেন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। চাষি গৌতম বিশ্বাস এর চাষকৃত খরিপ-২ মৌসুমে রাজস্ব খাতভূক্ত ব্রিধান-৮৭ জতের ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কৃষিবিদ আসিফ ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, কৃষিবিদ পরমা সাহা,উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন,মোংলা উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা, জনাব উজ্জ্বল মল্লিক,পৌর আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ, জনাব সেলিম হাওলাদারসহ স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণীবৃন্দ।
নমুনা শস্য কর্তনের পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ধানের হেক্টরপ্রতি গড় ফলন সাড়ে ছয় টন। এটি আমন মৌসুমের আগাম জাত। কৃষকের মাঠে ফলন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ জাত ২০০৮ সালে উদ্ভাবিত আমন জাত ‘ব্রি ধান ৪৯’-এর চেয়ে সাত দিন আগে ওঠে। ৮৭-এর ফলন আগের জাতগুলোর তুলনায় হেক্টর প্রতি এক টন বেশি। এজন্য আমন মৌসুমের আগাম জাত হিসেবে এটি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এর দানা লম্বা ও চিকন। এ জাতের পূর্ণবয়স্ক একটি গাছের গড় উচ্চতা ১২২ সেন্টিমিটার। কাণ্ড শক্ত বলে গাছ লম্বা হলেও ঢলে পড়ে না। এর পাতা হালকা সবুজ। ধান পাকার সময় কাণ্ড ও পাতা সবুজ থাকে। পরিপুষ্ট এক হাজার ধানের ওজন ২৪ গ্রামের বেশি।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ মোকাররম হোসেন জানান, গৌতম বাবু ৫২ শতক জমিতে উক্ত জাতটি চাষ করে বীজ এলাকার একাধিক চাষীর কাছে বিক্রয় করছেন। যা আগামী খরিপ-২ মৌসুমে চাষাবাদ করা হবে।
শস্য কর্তনে হেক্টরে ৩.৯৪ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে ৬.৫ থেকে ০৭ মে.টন ফলন পাওয়া যায়।