মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ পৃথিবী খ্যাত সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসেন সুন্দরবনে। সবুজের স্বর্গ উপভোগ করতে সাপ্তাহিক ছুটি কে কাজে লাগিয়েছেন অনেকেই।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকেই ঢাকা থেকে সহজেই সাতক্ষীরা এসে চলে যাচ্ছেন সুন্দরবনে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা পরিবার–পরিজন নিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন সুন্দরবনের নদীতে। হরিণ ও বানরের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আকর্ষণ করছে পর্যটকদের।
রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আব্দুল মান্নান বলেন,সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। করোনার আগে তাদের পরিকল্পনা ছিল সুন্দরবনে আসার তবে আসা হয়নি। পরিবার বন্ধু এবং অন্যান্য স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তারা। সুন্দরবনে প্রবেশ করতে তাদের কোন প্রকার হয়রানির স্বীকার হতে হয়নি।
সুন্দরবনে ঘুরতে আসা অপর দর্শনার্থী রবিউল ইসলাম জানান, যশোরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৯০ জনের বাহর নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন তারা। সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ ও অন্যান্য জীবজন্তুদের দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। বানর হরিণ কুমির সহ অন্যান্য প্রজাতির জীবজন্তু দেখেছেন তারা। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক বেশী পর্যটন মুখী হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখানকার টলারগুলোর ভাড়া অনেক বেশি। কয়েকটি সিন্ডিকেট দ্বারা টলার গুলো নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়।
সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজমের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি দর্শানার্থী এই ইকো ট্যুরিজমের প্রবেশ করছেন। যেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। করোনাকালীন সময়ে দুই বছর পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় এ বছর তুলনামূলক অনেক বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২ মাস পর্যটকদের আনাগোনা এভাবেই বাড়তে থাকবে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন কলাগাছি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের ফরেস্টার আসাদুর রহমান বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-১৫০০ দর্শনার্থী সুন্দরবনের কলাগাছি রেঞ্জ দিয়ে প্রবেশ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মার্চ পর্যন্ত এমন ভাবে।