গুরুদাসপুর,নাটোর প্রতিনিধিঃ পিঠা-পুলি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটায়। গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের আনন্দ-উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। এই আনন্দ ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই নাটোরের গুরুদাসপুরে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে নিবার্হী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আত্তার (লিপি), উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান, উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মো. মিলন মিয়া, উপজেলা পরিষদের সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এই পিঠা উৎসবে জনপ্রিয় ভাপা পিঠা ছাড়াও চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা সহ প্রায় ২০ আইটেমের সুস্বাদু পিঠার আয়োজন করা হয়। উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করতে স্থানীয় ও বহিরাগত সঙ্গীত শিল্পীদের গাওয়া মনোমুগ্ধকর গান নিয়ে ঘন্টাব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, একসময় পিঠা তৈরি ছিল আবহমান বাংলার মেয়েদের ঐতিহ্য। পিঠা-পায়েসকে নিয়ে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এখনো অসংখ্য গান, কবিতা ও ছড়া প্রচলিত আছে তবে পিঠা উৎসবের আনন্দ ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই উপজেলা প্রশাসন এই আয়োজন করে।