বিলালুর রহমান,জৈন্তাপুর,সিলেটঃ জৈন্তাপুরে নিখোঁজ হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে মাদ্রাসা ছাত্র-কে উদ্বার করতে সক্ষম হয়েছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) ওমর ফারুক’র দিক নিদের্শনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফোর্স’র সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং-এর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ
মাদ্রাসা ছাত্র মেহেদী হাসান তুহিন (১৩) কে ।
জানাগেছে, গত ১১ মার্চ সকাল ৯টার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আসামপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে চিকনাগুল ইউনিয়নের পানিছড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়।
বিকেল ৩টার দিকে পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় ফোন করে জানতে পারেন সে মাদ্রাসায় যায়নি। এসময় তার সাথে থাকা ফোনে যোগাযোগ করা হলেও রিং বাজে কিন্তু তার সঠিক সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার বিকেল থেকে সে নিঁখোজ হয়।
আত্মীয় স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে পান নাই। তার সাথে থাকা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও ফোনে রিং বাজতে থাকে। কখনও রিসিভ হয় আবার রিং বাজে। এ অবস্থায় অনেকটা হতাশ ও অসহায় হয়ে পরিবারের লোকজন গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে জৈন্তাপুর মডেল থানায় আসেন। জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) ওমর ফারুকের দিক নিদের্শনায় তুহিনের পিতা মো: মেহের আলি ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এসময় নিখোঁজ তুহিনের পিতা মেহের আলী,চাচা জাহিদ মিয়া অন্যান্য আত্মীয় স্বজন এবং জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর বিয়াম কুদরত উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান বেলাল সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে অফিসার (ইনচার্জ)’র রুমে অপেক্ষমান থাকা অবস্হায় পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে
তার অবস্থান সনাক্ত করেন।
ওসি সাহেব নিঁখোজ তুহিনের অবস্থান জৈন্তাপুর তৈয়ব আলি কারিগরি কলেজের আশপাশে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর সাব ইন্সপ্রক্টর শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ তুহিনের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফেরীঘাটের আশপাশে খোঁজ নিতে থাকলে এক পর্যায়ে দিপ্তি রানি দাস নামে এক মহিলা স্হানীয় সংবাদকর্মী-কে তুহিনের সন্ধান জানান।
পুলিশ ফেরীঘাট বন্দরহাটি বড়খেল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তাকে জিজ্ঞাসসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে।
এই বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) ওমর ফারুক জানান, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা অবগত হয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করতে মাঠে নেমে পড়ে। আমরা মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সনাক্ত করি। পুলিশ সহ সবার সহযোগিতায় মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাকে উদ্বার করে পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেছি। এই ঘটনায় তিনি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
অপর দিকে নিখোঁজ ছেলে কে ফিরে পাওয়ার জৈন্তাপুর মডেল থানার পলিশ ফোর্স কে পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।