তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মাদার অফ ডেমোক্রেসি, তিন বারের সফল প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি, কোটি বাঙ্গালির হৃদয়ের স্পন্দন পলিটিক্যাল ফিলো সুপার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা থেকে নেতা কর্মীরা ইফতার মাহফিলে যোগদিতে তাহিরপুর পুর্ব বাজারে একত্রিত হন।
জেলা বি এনপির সহঃ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জলের সঞ্চালনায় ও জেলা বি এনপির সহঃ সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ এক নির্বাচনী এলাকার মাঠি ও মানুষের নেতা বার বার বি এনপি মনোনীত সাবেক সফল সংসদ সদস্য জেলা বি এনপির সাবেক সভাপতি রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হুসেন। বক্তব্য রাখেন সুনামগন্জ জেলা বি এনপির সহঃ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা সেচ্ছাসেবকদল সহ সভাপতি ইকাবাল হাসান তাহিরপুর উপজেলা শ্রমীক দলের সভাপতি ফেরৌস আলম,সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হুদা, তাহিরপুর উপজেলা বি এনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমির শাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক সাইদুল কিবরিয়া, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বি এনপির সভাপতি মোশাহীদ আলম, সহ সভাপতি লায়েছ মিয়া, বাদাঘাট ইউনিয়ন বি এনপির সাধারণ সম্পাদক চান মিয়া মাষ্টার, বালিজুরি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জমিলখ মিয়া, শ্রীপুর দঃ ইউনিয়ন বি এনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, শ্রীপুর দঃ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার, উত্তর বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনাম তালুকদার, বালিজুরি ইউনিয়ন বি এনপি নেতা দ্বীন মাহমুদ,তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ নাছির মিয়া, যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক তুজাম্মেল হক নাছরুম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিন মিয়া, মিজানুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক আবু হাসান রাসেল, সদস্য সচিব মুন্না,ছাত্রদল নেতা রাহুল প্রমুখ।
সাবেক সংসদ সদস্য নজির হুসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সংকটময় কাল পার করছে। অথচ ১৯৭১ সালে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। মূলত সবার সমান-সুযোগ তৈরির জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। একটি জবরদখলকারী সরকার অস্ত্রের মুখে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন সেই বিধান এই সরকার আদালতের মাধ্যমে বাতিল করেছে। আজকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে নির্যাতন করা হচ্ছে। বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে দিনের পর দিন কারাগারে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আপনারা সবাই দেখেছেন, সাংবাদিকদেরও তারা হয়রানি করছে। আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আজকে আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজকে আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে আমাদের ১০ দফা দাবি মানতে এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে । যে নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারবে।অন্যতায় পালানোর রাস্তা খুজে পাবেনা।