আজিম আলী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্ট, সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা বাবু সুব্রত পাল (সিআইপি), সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা অ্যাড.ড.শামীম আল সাইফুল সোহাগ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস ও সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য হুমায়ুন কবির।
উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জন। সদর উপজেলা
আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার সভাপতিত্বে বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হাফিজুর রহমান,রাজু আহম্মেদ ও শফিকুল ইসলাম শিমুল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা বাবু সুব্রত পাল (সিআইপি), বলেন, বিএনপি জামাত ভন্ড প্রতারকদের সংগঠন। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ কারী দন্ডিত আসামি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মানিলন্ডারিংয়ের আসামী। তারেক জিয়া কিশোর গ্যাং এবং কিছু সহজ সরল তরুণদের নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন লোভ দেখাচ্ছেন। খুব শিগ্রই ওর প্রতারণার সত্যতা বেড়িয়ে আসবে সেদিন বেশী দূরে না, ওর নিজ দলের নেতারাই ওকে লাঞ্চিত করবে এবং দলের বিলুপ্ত ঘটাবে।
বাবু সুব্রত পাল (সিআইপি) আরও বলেন, দাদা লীগ ও দিদি লীগের দিন এখন শেষ। ঝিনাইদহ যুবলীগকে বলছি,আপনারা নিজেদের মধ্যে লাঠালাঠি করবেন না। লাঠি রাখবেন, সামনে জামায়াত-বিএনপিকে মোকাবেলায়।’
দীর্ঘ দুইযুগ পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও ঝিনাইদহ পৌর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনকে ঘিরে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে প্রাণ-চাঞ্চলতা ফিরে এসেছে। শহরজুড়ে মিছিল-মিটিং আর চায়ের আড্ডায় কারা নেতৃত্বে আসছে এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা দেখা গেছে। আওয়ামী যুবলীগের একাধিক গ্রুপ মিছিল সহকারে সম্মেলন স্থলে গিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রতিযোগীতাও বিরাজ করছে। সদর উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে ৭৯ জন যুবনেতা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল।
সম্মেলনকে ঘিরে যেমন রয়েছে উৎসব, তেমনি রয়েছে উত্তেজনা, কারা হবেন আগামী দিনের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কান্ডারী। দীর্ঘ দিন কাউন্সিল না হওয়ায় দলে পদ প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৩ জন তাদের সিভি জমা দিয়েছেন। এছাড়া সদর পৌর যুবলীগের সভাপতি পদে ১১ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫ জন তাদের সিভি জমা দিয়েছেন।