রানা খান,প্রতিনিধি শ্রীপুর,গাজীপুরঃ পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া স্বামী হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) রতন কুমার দাশ।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ মে রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একই ঘড়ে শুয়ে ছিলেন হৃদয়। রাত আড়াইটার দিকে তাদের শিশু কন্যা মরিয়ম (৫) ঘুমন্ত থাকা অবস্থায়, ভিকটিম নাসরিন আক্তার পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন- এমন সন্দেহে স্বামী মোঃ শাহাজালাল ইসলাম হৃদয়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে হৃদয় ভিকটিম নাসরিন আক্তারকে প্রথমে ব্যাট দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে, পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্তান মরিয়মকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরের দিন পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের মা বিনা আক্তার বাদী হয়ে শাহাজালাল ইসলাম হৃদয়কে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা নং ২৬/২৩ দায়ের করেন।
এর সূত্র ধরে র্যাব-১,গাজীপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে অত্র ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রতন কুমার দাশের নেতৃতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার সদর থানার বনুয়া পশ্চিম পাড়া বটতলা নামক স্থানের মনির হোসেনের বাড়ি থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয় ।গ্রেপ্তার হওয়া হৃদয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৭ মে বুধবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকায় স্ত্রী নার্গিস আক্তার (২৫)কে গলাটিপে হত্যা করে স্বামী হৃদয়। হত্যা নিশ্চিত করে সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান নিহতের স্বামী হৃদয়। নিহত নার্গিস ওই গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে স্বামী হৃদয় মিয়া (২৫) গাজীপুর সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মোঃ আলীমুল হাজীর ছেলে।