নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক মরহুম নজরুল ইসলাম চিনু এর আত্মার মাগফেরাত কামনায়, কবর জিয়ারত, কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার কুমরপুর তার নানার বাড়ীতে কুরআন খতম, রানীনগর নয়গ্রাম স্ব উন্নয়ন গোরস্থানে কবর জিয়ারত শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কুমরপুর মসজিদের পেশ ইমাম ও হাজী জমির উদ্দিন সাফিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের ইসলামিক স্ট্যাডিজ এর সহকারী অধ্যাপক আবু তাহির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক
লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো: তাজবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবুল
হোসেন, আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল হাসান বাচ্চু, অর্থ সম্পাদক এনামুল হক মন্ডল, আইন বিষয়ক
সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মোস্তফা, আবুল হাসনাত কচি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
এনামুল হক রিপন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরকার
বাবু, পারিলা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সুজন কবির, সদস্য আসমান আলী স্বপন, গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জহির, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সহ জেলা,
উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ।
উল্লেখ্য গত শনিবার (২০ মে) বিকেল প্রায় পৌনে ৫ টার দিকে রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো: তাজবুল
ইসলাম ও সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস খাঁন এবং দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম চিনু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচন উপলক্ষে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এর পক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা
ও লিফলেট বিতরণের লক্ষ্যে রাজশাহী কোর্ট স্টেশন থেকে অটো রিকশা যোগে কাশিয়াডাঙ্গা’র দিকে যাওয়ার পথে সাইরগাছা মোড়ে পৌছালে পিছন থেকে খয়েরি (লাল) কালারের একটি প্রাইভেট কার এসে ধাক্কা
দিলে রিকশাওলাসহ তারা সকলেই পড়ে
যায় এবং দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম চিনু, অটো রিকশা চালকসহ আমরা অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এর প্রতিনিধিগন এসে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন এসময় চিকিৎসক নজরুল ইসলাম চিনু কে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. তাজবুল ইসলাম বলেন, পিছন থেকে প্রাইভেট কার ধাক্কা দিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটা এটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মনে করছেন না। তিনি বলেন, ‘সেদিন জেলার দপ্তর সম্পাদক নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার দুপুরে সিটি নির্বাচনে এ এইচ এম খায়রুজ্জান লিটন ভাইয়ের প্রচারণা চালানোর উদ্দেশ্যে রিকশাযোগে কাশিয়াডাঙ্গা ঢালুর মোড়ের দিকে যাচ্ছিলাম। আমাদের বহনকারী রিকশাটি কাশিয়াডাঙ্গা ফোরলেন সড়কের বাম পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। আমাদের রিকশা অভারটেক করার মত যথেষ্ট স্পেস ডানপাশে ছিলো। কিন্তু পিছন থেকে খয়েরি (লাল) কালারের একটি প্রাইভেট কার আমাদের রিকশাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাচালকসহ আমরা দুইজনই রিকশা থেকে পড়ে যাই। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমার জ্ঞান ছিল না। কিছুক্ষণ পরে দেখি খয়েরি (লাল) কালারের ধাক্কা দেওয়া কারে থাকা লোকজন একটি সাদা কালারের প্রাইভেট কারযোগে ড্রাইভার ও অন্য যাত্রীরা দ্রুত পালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এতে আমার সন্দেহ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রাইভেট কারটি এখনো থানায় আটক থাকলেও কারের মালিক এবং ড্রাইভার গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনথ্যায় অনতিবিলম্বে কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জনান।
কৃষক লীগের এই সভাপতি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই প্রাইভেট কারটি আমাদের বহনকারী রিকশায় ধাক্কা দিয়ে অন্য প্রাইভেট কারযোগে পালিয়ে গেছে। এটি অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পিত। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খতিয়ে দেখে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান তিনি।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলা কৃষক লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. তাজবুল ইসলাম রাজশাহী-০১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দীর্ঘদিন থেকে তানোর-গোদাগাড়ী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে আসছে। এত ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিপক্ষের লোকজন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনিসহ রাজনৈতিক সচেতন মহলের অনেকেই মনে করছেন।