আজিম আলী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই আজ (৩ জুন) সংবাদপত্র বিক্রেতারা (হকার) কাগজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহক এবং এজেন্টরা।
জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে কাগজ বিক্রির কমিশন নিয়ে চলে আসা বিরোধের জের ধরে এই ধর্ম ঘটের ডাক দেয় ঝিনাইদহ জেলা হকার্স সমিতি। ধর্মঘটের ফলে কোন হকার কাগজ বিক্রি করতে পারছে না এমনকি কোন এজেন্ট নিজে কিংবা নতুন কোন হকার দিয়ে কাগজ বিক্রি করতে পারবে না বলে ঘোষনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হকার্স সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রথম আলো পত্রিকার মালিক পক্ষ থেকে প্রত্যেক হকারের কাছে ফোন করে জানানো হয়েছে আমাদের অতিরিক্ত কমিশনের বিষয়টি তবে এখানকার এজেন্টরা সে দাবী মানতে নারাজ। আবার সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিন সাত টাকার পত্রিকা আট টাকা দাম নির্ধারণ করে সেখান থেকে হকারদের দাবী পঞ্চাশ পয়সা বেশী কমিশন নির্ধারণ করার কথা কিন্তু এজেন্টরা চল্লিশ পয়সার বেশী দিতে চায় না। হকার্স সমিতির সাবেক সভাপতি পিয়ার আলী জানান, করোনা কালীন সময়ে প্রথম আলো পত্রিকা হকারদের জন্য কাগজ প্রতি অতিরিক্ত পঞ্চাশ পয়সা কমিশন দিতে চাইলেও এখানকার এজেন্টরা সে কমিশন আমাদের দেয়নি। তিনি জানান এখন থেকে আমাদেরকে ৭ টাকার কাগজে ২টাকা পচাত্তর পয়সা, ৮ টাকার কাগজে তিন টাকা, ১০ টাকার কাগজে সাড়ে তিন টাকা এবং ১৫ টাকার কাগজে ৫ টাকার কমিশন দিতে হবে। এই দাবী মানা না হলে জেলার কোথাও সংবাদ পত্র বিক্রি করতে দেয়া হবে না।
এদিকে হকারদের এই ধর্মঘটের ফলে কোন গ্রাহক যেমন পত্রিকা পাচ্ছেননা তেমনি এজেন্টরা পড়েছেন দারুন বিপাকে। পত্রিকার এজেন্ট হাফিজুর রহমান জানান, করোনা কালীন সময় থেকে এমনিতেই কাগজের গ্রাহক সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে সে সময়ে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ এজেন্টদের ব্যবসার দিকে কোন খেয়াল না করে সরাসরি হকারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পত্রিকার গ্রাহক বাড়াতে চায়, সমস্যাটা এখানেই। তিনি জানান আমারা লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে আজ হুমকির মুখে। নগদ টাকায় কাগজ কিনে হকারদের কাছে বাকীতে বিক্রি করতে হয়। কোন কোন হকার আমাদের না জানিয়ে মাঝে মধ্যে কাগজ বিক্রি বন্ধ রাখে তখন সে দিনের কাগজ অবিক্রিত থেকে যায়। এর দায়ভার আমাদেরকেই নিতে হয়। এজেন্ট মিজানুর রহমান জানান আমরা পার্শ্ববর্তী জেলা তথা সারা বাংলাদেশে পত্রিকার মালিক পক্ষ যেভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আমারা সে ভাবেই ব্যবসা করে আসছি। তবে এখানকার হকাররা সমিতি করে এজেন্টদের বিপাকে ফেলার চেষ্ট করছে। তিনি জানান এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদেরকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। উল্লেখ্য শুধু মাত্র ঝিনাইদহ শহর এবং জেলা শহরের পাশর্^বর্তি এলাকার জন্য আব্দুল ওয়াহেদ,মিজানুর রহমান,হাফিজুর রহমান এবং মৃত বশির উদ্দিনের প্রতিনিধি সংবাদপত্র এজেন্ট হিসেবে নিয়োজিত আছেন। অন্যদিকে হকার সমিতির সদস্য রয়েছেন ৪০ জন।