উজ্জ্বল কুমার দাস,কচুয়া,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ এ বছর আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে বাজারে উঠানোর জন্য ৩ টি ষাঁড় মোটাতাজা করেছেন তামিম এগ্রো ফার্মের মালিক মোঃনাছির উদ্দিন।শখ করে এবছর তার ৩ টি ষাঁড়ের নাম রেখেছেন রাজা বাদশা বাহাদুর।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চড়সোনাকুর গ্রামে প্রান্তিক পর্যায়ের এ খামারি সম্পূর্ণ দেশীয় দানাদার খাবার ও ঘাস খাইয়ে বড় করেছেন তার পশু গুলোকে।বিগত ১০ বছর ধরে তিনি কোরবানির পশু লালনপালনের সাথে জরিত আছেন।গত বছরেরর কোরবানিতে তিনি ৫ টি গরু বিক্রি করে ভালো লাভ করেছেন।এবছর ও ভালো দাম পাওয়া আশা করছেন তিনি।
পূর্ব চরসোনাকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরির পাশাপাশি স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও স্বামী মোঃনাছির উদ্দিন সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করেন এ ফার্মের।ফার্মে এবছর শাহীওয়াল গীর জাতের ষাঁড় মোটাতাজা করেছেন তারা।এবছর রাজার ওজন হবে ১৩ থেকে ১৪ মনের মতো।বাদশা ও বাহাদুরের ওজন ও প্রায় কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।যদি ভালো দাম পায় তবে তিনটি পশু ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে।
এ বিষয়ে ফার্মের মালিক মোঃনাছির উদ্দিন বলেন,আমি দশ বছর ধরে এ ব্যাবসার সাথে জরিত রয়েছি।প্রতি বছরই আমার গরুর চাহিদা ভালোই থাকে ফলে লাভের পরিমাণও ভালো হয়।এবছর আমার খামারের কোরবানির পশুর ভালো দাম পাবো বলে আসা করি।তবে সরকারি পৃষ্ঠ পোষকতা পেলে খামার আরো উন্নত করতে পারতাম।
তানিয়া আক্তার বলেন,চাকুরির পাশাপাশি আমি নিয়মিত আমার স্বামীর সাথে ফার্মের কাজে সাহায্য করি।এবছর যদি ভারতীয় গরু সে ভাবে বাজারে না আসে তবে আমাদের মতো প্রান্তিক খামারিরা ভালো মূল্য পাবো।
খামার থেকে সরাসরি কোরবানির পশু ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮৪৯২৯৮৯৬০/০১৭১৮৩৩৩১০০ নাম্বারে।