আসাদুজ্জামান জামাল,ভালুকা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা, দস্তাদস্তি অবস্থায় বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা দেয়ায় ঐ নারী গুরতর আহত ।এঘটনায় তিনজনকে আটক করা করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষনের চেষ্টা ও হত্যার উদ্দেশ্য বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে মারাক্তক আহত করেছে চালক ও সহকারীরা।শুক্রবার (১৬ই জুন) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ী মায়ের মসজিদ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গতকাল রাতে গার্মেন্টস কর্মী শামছুন্নাহার কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফির ছিলেন। ফেরার পথে যখন মাস্টার বাড়িতে আসেন তখন বাসের সকল যাত্রী নেমে পড়েন। তিনি বাসে একা থাকেন। একা পেয়ে তখন বাসের চালক ও হেল্পার শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেন। তখন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন শামছুন্নাহার। তার শ্লীলতাহানি বাঁচাতে বাস থেকে ধাক্কা বা লাফিয়ে পড়েন।এসময় শামছুন্নাহার মাথায় গুরুত্বর আঘাত পায়।স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।পরে উন্নত সচিকিৎসার জন্য শামছুন্নাহারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হামপাতালে প্রেরন কর হয়।
এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান এ ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভূঞা স্যারের নির্দেশনায় এক ঘন্টার মধ্যে চালক সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এ ঘটনার সততা স্বীকার করেছেন। আটককৃতরা হলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কাশীগঞ্জ এলাকার শ্রী রবিদাশের ছেলে আনন্দ দাস (১৯) ও রায়মনি এলাকার আরফান আলীর ছেলে আরিফ (২০)।
১৭ জুন (শনিবার) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ১০নং ওয়ার্ডে গুরুত্বর আহত শামছুন্বাহার(৩৫) কে দেখতে যায় মানবিক জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। শামছুন্নাহার এর শারীরিক খোঁজ খবর নেন ও তার সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস তিনি।