লিপন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের জেলা সদরের আলোর মেলায় পৈতৃক সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে বোন মনোয়ারার বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বোন মনোয়ারা বেগম। ঘটনার বিবরন মামলা সংক্রান্ত বিষয়াবলি মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই যে, আমার পিতা মৃত শফিউদ্দিন তার ক্রয়কৃত কিশোরগঞ্জের আলোরমেলা এলাকা সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরবর্তীতে আমার পিতা আমার দুই ভাই মাকসুদুল হক শিকদার ও মাজেদুল হক শিকদারকে ৮ শতাংশ করে হেবা দলিল মূলে লিখে দেন। তারপর আমার ছোটভাই মাজেদুল আমার টাকায় প্রবাসে চলে যায়। বেলজিয়াম থাকা অবস্থায় আমার টাকার পরিবর্তে দূতাবাসের মাধ্যমে আমাকে পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান করে তার জমির। এই খবর পেয়ে আমার পিতা প্রথমে হেবা দলিলের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই সাথে জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জের কাছে রি ষ্টেম্প না করার আবেদন করে। আদালত আমার পিতার মামলা খারিজ করে।আমার আবেদন এর ফলে জেলা প্রশাসক রি ষ্টেম্পিং করার জন্য রেজিস্ট্রেশন অফিসে প্রেরণ করে।যার স্মারক নং ৭৯৪,১৬/০৬/২০১৭ মূলে পাওয়ার অব এটর্নি রেজিষ্ট্রি হয়।তারপর আমি আমার স্বামী নুরুজ্জামানের নামে ৮ শতাংশ জমি সাফকাওলা মুলে লিখে দেই। পূনরায় আমার স্বামী আমাকে হেবা দলিলের মাধ্যমে আমাকে ৫.৪৫ শতাংশ লিখে দেয়। যার সকল বৈধ কাগজাদি আমার কাছে রক্ষিত আছে।
এরপর জায়গা সম্পত্তির মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই আমার দুই ভাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং মামলা মোকদ্দমা অব্যহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বিষয়টি কেন্দ্র করে অনেক দেন দরবার হয়েছে। আমার দুইভাই কাগজ নিয়ে কোন শালিসে আসেনা। শুধু শশুর বাড়ির পাওয়ার দেখিয়ে আমাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচার করে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে রেহাই পেতে আমার জমিটুকু বিক্রি করে দেই। এখন ক্রেতাদেরকেও হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। ক্রেতা রায়হেনা খাতুনসহ তার ক্রয়কৃত বাড়িতে বসবাসকৃত তার মেয়ের জামাতা সরকারি চাকুরিজীবি মোঃআব্দুল্লাহ আল হাদীকে মিথ্যা মামলায় ও নানা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। এছাড়াও আমার অবশিষ্ট ২.৫৫ শতাংশ জমি এখনো তাদের দখলে।উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করি।