এস এম সোহেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১দিনের এক নবজাতক শিশুকে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করার অভিযোগে শিশুটির মা কল্পনা রানী (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
ঘাতক কল্পনা রানী বর্মণ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দরবস্ত হিন্দু পাড়া গ্রামের দেবেন্দ্র নাথের স্ত্রী।
শিশুটির মা ঘাতক কল্পনা রানীর ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনার দিন (২১ জুন) রাত্রী ১টা হইতে ৩টার মধ্যে যে কোন সময় কল্পনা রানী সকলের অগোচরে দরবস্ত হিন্দুপাড়া গ্রামের দেবেন্দ্র নাথ বর্মনের বাড়ীতে নবজাতক শিশুটিকে ভুমিষ্ট করে। ভূমিষ্ট হবার পর নবজাতক শিশুটির নাকে আঙ্গুল দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং উক্ত শিশুর লাশ গুম করার জন্য দরবস্ত হিন্দু পাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের বাঁশ বাগানের ড্রেনের পানিতে ফেলে আসে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রলয় কুমার বর্মা জানান,
ঘটনার বিষয়ে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্তকালে জানা যায় শ্রী দেবেন্দ্র নাথ বর্মন (৪৫), পিতা-মৃত রামতনু চন্দ্র বর্মন, সাং- দরবস্ত হিন্দু পাড়া, ইউপি-দরবস্ত, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধা। শ্রীমতি কল্পনা রানীর সাথে প্রায় ২০/২২ বছর পূর্বে সনাতন ধর্মীয় রীতি মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর সংসার করাকালে তাহাদের সংসারে ০২টি সন্তান শ্রী কনক চন্দ্র বর্মন (২০) এবং শ্রীমতি কনিকা রানী (১৮) জন্ম হয়।
বিবাহের পর হইতে ঘর সংসার করা কালে প্রায় ৮ বছর পূর্বে শ্রী দেবেন্দ্র নাথ বর্মন তাহার স্ত্রী শ্রীমতি কল্পনা রানীর চাল চলন আচার আচরণে সন্দেহের জন্ম দেয়।শ্রী দেবেন্দ্র নাথ বর্মন গোপনে অনুসন্ধানে জানতে পারি যে,তাহার স্ত্রীর স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। বিষয়টি তাহার স্ত্রী সহ শ্বাশুড়িকে জানাইলে তাহারা কোন বিধি ব্যবস্থা না করিলে মনোকষ্টে দেবেন্দ্র নাথ বর্মন প্রায় ৮ বছর হইতে নিজ বাড়ী ছেড়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া এলাকায় আলাদা ভাবে বসবাস করছে।
কল্পনার স্বামী দেবেন্দ্র নাথ জানান বুধবার (২১ জুন) লোক মারফৎ জানিতে পারেন যে,দরবস্ত হিন্দু পাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের বাশ বাগানের ড্রেনের পানিতে এক দিনের নবজাতক ছেলে শিশুর মৃতদেহ ভাসছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে দেবেন্দ্র নাথ তার বাড়ীতে আসলে স্ত্রীকে সদ্য বাচ্চা প্রসব করার মত লক্ষণ দেখিয়া তাকে উক্ত নবজাতক শিশু সন্তানের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে প্রথমে সে অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আশপাশের লোক জনের সামনে উক্ত নবজাতক শিশু সন্তান তাহার স্বীকার করেন।
উক্ত মামলার অভিযান পরিচালনাকারী অফিসার জনাব বুলবুল ইসলাম পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত, এসআই প্রলয় কুমার বর্মা, এসআই সবুর মিয়া।