সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চর বজরা দিয়ারখাতায় এমফারসি (মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দি চরস)‘চরের হাট’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার এই হাট উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি।
উদ্বঝধনী অনুষ্ঠানে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী বলেন, চর এলাকার ৩২ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমিতে উন্নত প্রযুক্তিতে ফসল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী চরের জমি চাষযোগ্য করা ও চরের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের গবেষণা ও প্রকল্প গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমান সরকার চর এলাকার বাড়ি, ফসল, মার্কেট উন্নয়ের জন্য প্রকল্প গ্রহন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চর অঞ্চলের হত দরিদ্র পরিবারগুলোর স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এ মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এতে করে চরের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে।
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোঃ খুরশিদ ইকবাল রিজভী এর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি,,কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মঝহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো মাহফুজার ইসলাম,চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুকনুজ্জামান শাহিন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ, চিলমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাহবুবুর রহমান, এমফারসির সদস্য মাহফুজার রহমান প্রমুখ।
বজরা দিয়ারখাতা চরের হাটের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা শহিদ আলী জানান, তিনি হাট স্থাপনের জন্য এক একর জমি দিয়েছেন। পাশে স্কুল হলে সেই জমিও দান করবেন। স্থানীয় বাসিন্দা রানু মিয়া জানান, বজরা দিয়ারখাতা ও আশপাশের আরো ৫টি চরের কয়েক হাজার বাসিন্দা নৌকাযোগে চিলমারী গিয়ে হাট বাজার করেন। এতে সময় ও অর্থ নষ্ট হয়। নতুন হাটটি শনিবার ও মঙ্গলবার বসবে। এতে মাছ , মাংস, সবজি, ফল, রাসায়ানিক সার, ওষুধসহ সব ধরণের পণ্য ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। বাড়ির কাছে হাত বাড়ালেই হাটে সওদা করার সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই খুশি।
সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অথার্য়নে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দি চরস (এমফারসি) নামে প্রকল্পটি দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের চরাঞ্চলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে ১ লাখ ২৪ হাজার পরিবার উপকৃত হবে। প্রকল্পটির মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে, চরগুলোতে জাতীয় পযার্য়ের বেসরকারি কৃষি ব্যবসা নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের মাধ্যমে কষি পণ্যর উৎপাদনশীলতা ও গুণসম্পন্ন মান বৃদ্ধি করা। যাতে চরের পরিবারগুলোর আয় বৃদ্ধি ঘটে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সময় এবং অর্থের অপচয় কমে।