মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ খুলনার প্রান্তিক মানুষের যাপিত জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘নোনা পানি’। বেঙ্গল ক্রিয়েসন্ লি: প্রযোজিত ও সৈয়দা নিগার বানু পরিচালিত ‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রটি সমগ্র বাংলাদেশে বিকল্প প্রদর্শনীর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাতক্ষীরায়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সাতক্ষীরার আয়োজনে আগামি ৫ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, বিকাল ৪টায় একাডেমির মিলনায়তনে সিনেমাটি দেখানো হবে।
‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক বলেন- ‘নোনা পানি’ টিমের জন্য এটা খুবই আনন্দের যে, সাতক্ষীরায় সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সিনেমাটি দেখে গল্পের সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন কারণ ‘নোনা পানি’ সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে। এছাড়া সিনেমাটির বেশ কিছু অংশ নকিপুর জমিদার বাড়ি, শ্যামনগর যশোরেশ^রী মন্দিরে শুট করা হয়েছিল।’
‘নোনা পানি’ সিনেমাটি রোম্বা, দশপাই, কৃষ্ণা নামে তিনজন প্রান্তিক মানুষের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে। রোম্বা, স্বামী পরিত্যক্ত মা, যার পেশা নদী থেকে চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করা। দশপাই, সে নারী না পুরুষ তাই নিয়ে ধন্ধ কাটে না গ্রামের মানুষের। গ্রামের মেয়েদের নাক কান ফুটিয়ে জীবন নির্বাহ করা দশপাইয়ের মুক্ত পৃথিবী হলো একটি রেডিও। অন্য দিকে যাত্রাদলের কৃষ্ণা টিঁকে থাকার লড়াইয়ে জয় পরাজয়ের মুখোমুখি।
এই তিনটি চরিত্র ছাড়াও এদের চারপাশে আরো বহু চরিত্র রয়েছে, সিনেমাটিতে উঠে এসে তাদের কথা। সব চরিত্রই চায় গ্রামে থিতু হতে, চায় আত্মপরিচয়। এই আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিতে গিয়ে তারা কখনো কখনো নিজ নিজ জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ছুঁড়ে ফেলতে চায় অসহায়ত্বের ঘেরাটোপ। এসব চরিত্র নিয়েই গড়ে উঠেছে চলচ্চিত্র ‘নোনা পানি’। এই সিনেমা’র সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সিনেমাটিতে এ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা ও লোক গান ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সাতক্ষীরার আয়োজনে ‘নোনা পানি’ সিনেমাটির প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগে আসলে আগে সীট বরাদ্দ ভিত্তিতে প্রদর্শনীটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলের উপস্থিতি কামনা করছি।