স্বপন কুমার রায়,খুলনাঃ জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট)দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধামন্ত্রী।
সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বাংলাদেশের
স্বাধীনতার স্হপতী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্টনিহতদেরবিদ্রোহী আত্মার
শান্তি কামনা ফাতেহাপাঠ,দোয়াওবিশেষমোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।এ সময়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখরেহানা সহ পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা উপস্হিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসাবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বীতীয় বার শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া আসেন শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ধানমন্ডির পরে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এদিন জাতির পিতার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ঘৃণ্য ঘাতকরা এ দিনে হত্যা করে।
রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমান নিহত হন। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
সে সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।