মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ৫শ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়। ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মো: জয়নাল আবেদীন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিদপুর গ্রামের মো: আবু বক্করের ছেলে মো: মেহেদী হাসান রনি (২৭) কে আসামী করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেদী হাসান রনি গত ২৭ আগষ্ট তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে “সাব্বাস ফখরুল নামেও মির্জা ফখরুল, কামেও মির্জা ফখরুল উল্লেখ করে কল্প কাহিনী তৈরী করে একটি পোষ্ট দেন। সেখানে মির্জা ফখরুল চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল হতে ৫০ লাখ টাকার চেক নিয়ে সিঙ্গাপুর গেছেন উল্লেখ করে একটি জ্বাল ও ভূয়া চেকের ছবি দিয়ে পোষ্ট করেন। এছাড়াও পোষ্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে তার স্ত্রীর ছবিও প্রকাশ করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন উচ্চ শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক। তার পিতা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ইতিপূর্বেকার সরকারের একজন মন্ত্রি ছিলেন। তার সহধর্মীনি মোছাঃ রাহাত আরা একজন উচ্চ শিক্ষিতা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলা। মির্জা ফখরুল শিক্ষা বিভাগের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং তৎকালীন মন্ত্রী এস.এ. বারী এ.টির একান্ত সচিব ছিলেন। ভুতপূর্ব সাকরের একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি উল্লেখিত দায়িত্ব সমূহ পালন কালে কোনরুপ অসততা, দূর্নীতি এবং স্বজন প্রীতি করেননি। তার বিরুদ্ধে এ যাবৎ কোন অভিযোগ নেই। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনীতিতে একজন স্বচ্ছ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা এবং সংসার পরিচালনা নিজের এবং স্ত্রীর চিকিৎসার নিমিত্তে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমা জমি তথা বহু সম্পত্তি বিক্রয় করেছেন। তার বিরুদ্ধে মেহেদী হাসান রনির প্রকাশিত অপপ্রচারটি মানহানির ও জঘন্য অপরাধ উল্লেখ করে দ: বি: ৫০০/৫০১ ধারায় মামলা আমলে গ্রহন করে রনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয় মামলায়।