রনি মিয়া,স্টাফ রিপোর্টারঃ এলএনজি ভিত্তিক সকল টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জের টেংরাবিল হাওরের কৃষক পদযাত্রা, বুধবার দিনব্যাপী উন্নয়ন সংগঠন হাউস, ক্লিন, বিডব্লিওজিইডি এর সুনামগঞ্জের যৌথ আয়োজনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের চিনাউরা টেংরাবিল হাওরের এই প্রথমবারের মতো পদযাত্রায় শত শত কৃষক কৃষানীরা অংশগ্রহন করেন।
এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন,বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বব্যাপী নতুন বাস্তবতা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন করার দাবি করেন। দেশের বিদ্যুৎ খাত পুরোপুরি জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাত কয়লা ও গ্যাস নির্ভর । এতে একদিকে কার্বণ নির্গমন বাড়ছে, যার ফলশ্রুুতিতে জলবায়ু পরিবর্তন তরান্বিত হচ্ছে। এতে সামগ্রিকভাবে দেশ ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরদিকে তেল ও গ্যাস পুরোটাই আমদানি নির্ভর হওয়ায় জাতীয় বাজেটে ব্যাপক চাপ পড়ছে।
যার দারুণ জনগণের জীবনযাত্রায় টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি খাতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে দেশের বাজেট হবে চাপমুক্ত, জনগনের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে।
এই গ্রীন হাউজ গ্যাস নি:সরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আজ ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। যা আমাদের পৃথিবীর মানব জাতিসহ গোটা জীবজগতের অস্তিত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিশ্বে মোট গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ৭৫-৮০% শতাংশই করে জি-২০গ্রæুপের সদস্য দেশগুলো। তাই কার্বন নিঃসরণ এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা হ্রাসকরণে জি-২০ দেশগুলোর ভূমিকাই সর্বাধিক।
জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে বাংলাদেশের মত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে এসব দেশ প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এমতাবস্থায় নবায়নেযাগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি জোরালো ভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস, কয়লা ও ডিজেল ভিক্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। আমাদের দেশের জ্বালানি খাতের ৮০ শতাংশ বাণিজ্য এই জি-২০ ভুক্ত বিশেষত এশিয়া অঞ্চলের ৬টি দেশের সাথে।
জি-২০’র অন্তর্ভূক্ত এসব দেশ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই চাইবে আমরা তাদের কাছ থেকে কয়লা-গ্যাস ডিজেল-ফার্নেস অয়েল আমদানি করি যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। আমরা চাই দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ুক, কিন্তু তা হতে হবে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি। তাই নবায়নেযাগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।
উক্ত পদযাত্রায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিনা আবেদীন, হাউসের নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক এন্দ্র সলোমর, অনির্বাণ মহিলা সমিতির সভানেত্রী শিল্পী বেগম, স্থানীয় কৃষক নুর আলী, প্রভাষক ফজলুল করীম সাঈদ প্রমুখ।