স্বপন কুমার রায়,খুলনাঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিলে দুই মাসের মতো সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন ইসি।
সাধারণত তফসিল ঘোষণার ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করা হয়।কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পুর্ণ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি।মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তি নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতা রয়েছে।অথ্যাৎ আগামী ১নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
নির্বাচনের তফসিলে সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটগ্রহণের তারিখ উল্লেখ থাকে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে যদি কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়, তাহলে তিনি চাইলে আপিল করতে পারেন। এই আপিল নিষ্পত্তির জন্যও সাধারণত তিন-চার দিন সময় রাখা হয়।
সূত্র বলছে, এবার মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিলের জন্য তফসিলে বেশি সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, আপিল শুনানির জন্য সাধারণত যে সময় রাখা হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার সময় বেশি রাখার চিন্তা করছে ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, তফসিলে সাধারণত যে সময় দেওয়া হয়, এবার তা থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা চলছে। বিশেষ করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে যুক্তিযুক্ত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কাজ সম্পন্ন করতে যে সময় লাগবে, তা নির্ধারণ করে তফসিল চূড়ান্ত করবে কমিশন।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলে ৪৫ দিন সময় রেখে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে সময় ছিল ৪০ দিন। তার আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৭ দিন পর ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ ১০ দিন পেছানো হয়।