সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামে শোক ও শ্রদ্ধায় পালিত হল কুড়িগ্রামের বাদশা নামে খ্যাত সাহিত্যের অন্যতম কিংবদন্তি সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে চির নিদ্রায় শায়িত কবির সমাধী চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন,সমাধীস্থল পাকাঁকরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।এছাড়া কবির লেখা কবিতা পাঠ,আলোচনাসভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবি সংগঠন কবির সমাধি চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল আরীফ , জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন , সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আঃ খালেক ফারুক প্রমুখ।
বেদীতে ফুল দিতে আসা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মোছাঃ নাজনীন আকতার জানান,সব্য সাচী কবি সৈয়দ শামসুল হক শুধু কুড়িগ্রামেরই কবি নন গোটা বাংলাদেশের কবি।আমাদের কলেজ মাঠে কবিকে সমাহিত করা হয়েছে এজন্য আমরা গর্বিত।আমরা ভেবেছিলাম কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য দ্রুত স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি হবে।কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় ৭ বছর অতিবাহিত হলেও কবির স্মৃতিরচারণে স্মৃতি কমপ্লেক্সটি আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখছে না।
ঐ কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ সাইমন হিরা জানান,কবির জন্মদিন ও মৃত্যু বার্ষিকীর সময় এলে শোক আর ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের দায়িত্ব শেষ করি।পরের দিন আমরা সব ভূলে যাই।কবিকে জানার জন্য আমরা ও পরবর্তী প্রজন্ম যাতে কবিকে মনে রাখে এজন্য কবির স্মৃতি কমপ্লেক্স অত্যান্ত জরুরী। স্মৃতি কমপ্লেক্স বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে অনুরোধ করছি অতি দ্রুত এ স্মৃতি কমপ্লেক্সটি নির্মান করা হোক।
সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সংগঠক শ্যামল ভৌমিক বলেন,অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে কবির মৃত্যুর ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ে পাশ হওয়া স্মৃতি কমপ্লেক্সটি তৈরি হচ্ছে না।আমরা চাই এই কমপ্লেক্সটি নির্মান করে কবি ও কবির সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে ভালো করে জানার ব্যবস্থা করা হোক।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সৈয়দ শামসুল হক গ্রন্থশালা ও স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মানে বরাদ্দকৃত জমির চিঠি পেলেই কবির স্মৃতি কমপ্লেক্সটির কাজ শুরু হবে।
এদিকে ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সৈয়দ শামসুল হক নামে স্মৃতি কমপ্লেক্সের কাজ আটকে থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্মৃতিচারণ করতে আসা লোকজন।গত ৭ বছরেও কবির স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মানে কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে জানান,সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দি হয়ে আছে কবির স্মৃতি কমপ্লেক্সের স্বপ্ন।