রাকিব হোসেন ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে গ্রন্থমুখী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি সৃজনশীল, জ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত জাতি গঠন করাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। আমৃত্যু যার স্বপ্ন দেখে গেছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমি চত্বরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় এবং ঢাকা বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত আট দিনব্যাপী (০৭-১৪ অক্টোবর) ‘ঢাকা বিভাগীয় বইমেলা ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি বলেন, পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা খুব বেশি লাভের আশায় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং ভালোবাসা, জ্ঞানপিপাসা ও হৃদয়ের খোরাক থেকে শিল্পটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। কেননা, আজকাল মানুষ খুব বেশি বই কিনতে চায় না। তাছাড়া ছাপানোর কাগজসহ প্রকাশনা শিল্প সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাহিত্যমেলার আয়োজন করেছি। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব। তিনি বলেন, বর্তমানে ৮টি বিভাগে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামনে অনুষ্ঠিত হবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি কামরুল হাসান শায়ক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, অমর একুশে বইমেলার ন্যায় দেশের ৮টি বিভাগে অনুষ্ঠিতব্য এ বইমেলার ব্যাপক প্রচার দরকার। সেজন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি স্কুল ও কলেজে চিঠি দিতে হবে যাতে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বইমেলা সম্পর্কে জানতে পারে এবং বই কেনা ও পড়ায় উদ্বুদ্ধ হয়। সংস্কৃতি সচিব বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে। তিনি বলেন, বই কিনতে ও বই পড়তে হবে। তবেই আমরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবো। উল্লেখ্য, এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সোনার বাংলার স্বপ্নযাত্রা।’ মেলায় প্রায় ১০০টি স্টল রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ছায়ানীড়’ আয়োজিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা ও সংবর্ধনা-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন।