মহীউদ্দিন চৌধুরী: বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজধানীর দক্ষিণখানের বটতলা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম মুসাব্বির হোসেন চৌধুরী (২৫)। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন মুসাব্বির হোসেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস। দক্ষিণখান থানাধীন দক্ষিণ আজমপুর বটতলা জালাল উদ্দিন স্বরনীর মো. মোতালেব ও মা নাসিমা আক্তারের ছেলে মোসাব্বির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই এলাকায় রাব্বি নামের একজনের সঙ্গে স্থানীয় বখাটেদের বিরোধ হয়। এ সময় ওই পথ দিয়ে অফিস থেকে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন মুসাব্বির হোসেন। বিরোধ দেখে তিনি রিকশা নেমে রাব্বির দিকে এগিয়ে যান। বিরোধের বিষয়টি জানতে চাইলে বখাটেরা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার বুকে, গলায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বখাটেরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। দ্রুত মুসাব্বিরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে মুসাব্বিরের মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ৯৯৯-এ পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু পুলিশ সেখানে পৌঁছতে দেরি করে। এমন কি হাসপাতালে নেওয়ার পরেও পুলিশকে ফের ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। এরপরও পুলিশ হাসপাতালে বিলম্বে পৌঁছে।
স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে নেওয়ার পর পুলিশ কেস ভেবে মুসাব্বিরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। দীর্ঘসময় আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালটির জরুরী বিভাগের গেটে বিনা চিকিৎসায় রাখা হয় তাকে। একপর্যায়ে মুসাব্বির মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র এ ঘটনায় জড়িত থাকা বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। তারা হলেন নোমান, সিফাত, ইমু, রেদোয়ানসহ আরো বেশ কয়েকজন। তারা স্থানীয় সন্ত্রাসী দলের সদস্য বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এর আগেও তারা নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা তরুণ অপরাধ চত্র কিশোর গ্যাং এর সদস্য।