নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়া উপজেলার জামতলী বাজার এলাকায় ডাবলুর কাঠের স’ মিলের পাশে জঙ্গলে উপর হয়ে পরে থাকা হত্যা করা লাশ উদ্ধারের পরে থানায় মামলা ও মামলার প্রধান আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ লাবু (২৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৩ অক্টোবর সোমবার দুপুরে দিনাজপুর জেলার দশ মাইল নামক স্থান থেকে ট্রাকসহ তাকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপারের অফিস থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ২২ অক্টোবর ভোরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার নাটোর বগুড়া মহাসড়কের জামতলি এলাকায় মাথায় বিভিন্ন জায়গায় জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তির সহায়তায় মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। মৃত নুর ইসলাম (৫১) পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানার বাবুয়ানী গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে। পরিচয় সনাক্ত করার পর তার পরিবারকে সংবাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই বছির উদ্দিন (৬০) এসে সিংড়া থানায় উপস্থিত হয়ে পঞ্চগড় জেলা সদরের জাবুরী দোয়ার এলাকার হাসিবুল ইসলামের ছেলে ট্রাক ড্রাইভার মোঃ লাবু (২৪)সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামীদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন । এজাহারে উল্লেখ করা হয় চলতি মাসের ১২ তারিখ নুর ইসলাম (৫১) হেলপার হিসেবে ট্রাকে যাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি হতে বের হয়। পরিবহন সেক্টরে কাজ করার কারণে সে নিয়মিত বাসায় ফিরত না, তবে স্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনে যোগাযোগ ছিল। রুজুকৃত মামলার সূত্র ধরে মামলার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারে উল্লেখিত আসামী ট্রাক চালক মোঃ লাবু (২৪) কে ২৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে দিনাজপুর জেলার দশমাইল এলাকা থেকে ট্রাক এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত লিভারসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী লাবু ভিকটিম নুর ইসলামকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিককে প্রথমে শ্বাসরোধ করে। পরে ট্রাকের লিভার দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভিকটিম নুর ইসলাম নিজের ট্রাকের হেল্পার হিসেবে কাজ করে, ঘটনার দিন রাতে ভিকটিম ও ট্রাক চালক লাবু দিনাজপুর ফুলবাড়ি থেকে পাথর নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। পথিমধ্যে ট্রাক চালক লাবু ও তার সহযোগীদের দিনাজপুরের বিরামপুর নামক স্থান থেকে পূর্ব থেকেই যোগাযোগ করে ট্রাকে উঠিয়ে নেয়, আসামীরা পরষ্পরের সহযোগিতায় ভিকটিম নুর ইসলামকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ট্রাকের লিভার দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলার নাটোর -বগুড়া মহাসড়কের জামতলী নামক এলাকায় তাহার মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।