নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ নামক নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (ইউজেএফ) বেস্ট রিপোর্টিং এওয়ার্ড প্রদান শেষে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়৷ এ বছর ৬ টি ক্যাটাগরিতে ৬ জনকে সম্মাননা স্মারক দেয় ইউজেএফ৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। তার বই তিনি পড়তেন। বার্ট্রান্ড রাসেল শুধু একজন দার্শনিকই ছিলেন না, বিজ্ঞানীও ছিলেন। ছিলেন পারমাণবিক যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের একজন বড় মাপের বিশ্বনেতাও। তার নামানুসারেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখা হয় রাসেল।
রাসেল বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ৫৯ বছর। আমরা এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করছি। বেঁচে থাকলে তিনিও হয়তো শামিল হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা এস এম বাদশা মিয়া বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন প্রাণচঞ্চল, বন্ধুবৎসল ও মানবিক। নিষ্পাপ ও নির্মল শেখ রাসেল আমাদের শিশু-কিশোরদের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। দশ বছর বয়সেই তার নেতৃত্বগুণ, সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীকতার প্রতীক৷ তাকে নিয়ে তরুণ প্রজম্মকে জানতে হবে৷
বইটির লেখক সামছুল আলম সাদ্দাম বলেন, শেখ রাসেল একটি অনুভূতির নাম৷ এ নামটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে৷ শেখ রাসেলকে নিয়ে অনেক কিছুই লেখার আছে৷ শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে।
সামছুল আলম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে পরিবারের সদস্যদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। তখন রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে নিভিয়ে দেওয়া হয়৷
সামছুল আলম সাদ্দামের জন্ম কুমিল্লার লক্ষীপদুয়া গ্রামে। বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করলেও প্রবল আগ্রহ সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে। ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় কাজ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ল’ফার্মে।
প্রায় দুই দশক ধরে আওয়ামী ছাত্র রাজনীতি একাল-সেকালের সাক্ষী সামছুল আলম সাদ্দামের দেশসেরা নানা প্রকাশনা’ থেকে প্রায় ৮টি বই প্রকাশ পেয়েছে। এসব বইয়ের মাঝে আমার দেখা বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী ও একটি বাংলাদেশ পাঠক মহলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। লেখালেখির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবনবোধ ও সাহিত্য দর্শন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন৷