মোঃ মজিবর রহমান শেখ: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় জাতীয়ভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তের জন্য রানীশংকৈল উপজেলা শিক্ষা অফিসের ২ সদস্যের একটি ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, মডেল স্কুলে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। হঠাৎ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরকারি কারিকুলামকে সমস্যা দেখিয়ে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির ভর্তি বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে অভিভাবকরা। এই উত্তেজিত ঘটনার দূ পক্ষে দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ভাইরাল হলে বিষয়টি এলাকায় সমাচলনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধান ছেলিমা সিদ্দিকা ৩ ডিসেম্বর অভিভাবক নওরোজ কাওষার কাননের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
অপরদিকে অভিভাবক নওরোজ কাওষার কানন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১১ ডিসেম্বর সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা সিদ্দিকা, সহকারি শিক্ষক ধীরেন্দ্রনার্থ পাল ও সহকারি শিক্ষক শেফালি খাতুনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন বলেন, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সীমান্ত কুমার বসাককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রির্পোট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন,আমি বাকবিতন্ডার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের অভ্যন্তরিণ কোন্দলের বিষয়ে তদন্ত কমিটির রির্পোট পেলে ব্যরস্থা নেওয়া হবে ।