রানা খান, শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।দুর্ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের নিচু জমিতে পড়ে যায়। এতে ট্রেনের লোকোমাস্টার এমদাদুল হক ও সহকারী লোকোমাস্টার সজিব মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
আসলাম (৪২) নামের এক যাত্রী নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্হানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতরু আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আসলাম ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা ১০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কারণে বিভিন্ন স্টেশনে কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী, দেখা দিয়েছে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘নাশকতা সৃষ্টিকারীরা রেললাইনের অন্তত ২০ ফুট কেটে নেওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকার ছিলাই বিলের পাশে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রেনের ৭টি বগি বিকট শব্দে লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতার কাজ শুরু করে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাওয়াল স্টেশনের এক কিলোমিটার উত্তরে বনখড়িয়া এলাকায় প্রবেশের সময় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতের উদ্ধার করে।
গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, নাশকতাকারীরা রেললাইন কেটে ফেলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্তসহ তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।