সুজন আলী, রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গত ১ বছরে (অর্থাৎ ২০২৩ সালে) ৫৪ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
রাণীশংকৈল থানা পুলিশের হিসাব মতে, গত ১ বছরের অপমৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের থানার তথ্য অনুযায়ী, গলায় ফাঁস,বিষ পান,গ্যাস ট্যাবলেট ২৯ জন,পানিতে ডুবে ১০ শিশু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন, সাপের কামড়ে ৪ জন,অসুস্থতা জনিত ১ জন ও অজ্ঞাতনামা ১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এসব অপমৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, পারিবারিক কলহের ও অভিমান করে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ফাঁস টানিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন, যার বেশিরভাগ বিবাহিতা নারী।
সড়কপথে চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, সচেতনতা ও নিয়ম-নীতি না মানায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে।
তাছাড়া সচেতনতার অভাবে নারীর মৃত্যু। পানিতে ডুবার ঘটনায় দেখা যায় বেশিরভাগ শিশু মারা যায় যা অবহেলিত জাতীয় সংকটের কারণে। বিষপান করেন সাধারণত উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা। এরা আবেগের বশে এসব কাজ করেন।
সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গ মনে করেন, সমাজে বিদ্যমান ও বহমান ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বাঙালিদের চিরাচরিত সামাজিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় রাখাই উত্তম। জগতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মরণব্যাধি, দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এই অপমৃত্যুর হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সমাজের সুধী সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। সর্বোপরি সুস্থ চিন্তা ও কর্মই একমাত্র পথ।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, গত ১ বছরে ৫৪ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ‘এসব অপমৃত্যু আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। সকলকে সড়ক আইন মেনে চলতে হবে। আমরা এসব অপমৃত্যু রোধে কাজ করছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘এসব অপমৃত্যু কখনোই কাম্য নয়, এটা দুঃখজনক। সকলকে অনুরোধ করবো অপমৃত্যু ঠেকাতে নিজে সচেতন হোন এবং সেই সাথে অন্যকে সচেতন করুন।