চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় আজ ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার চলতি শীত মৌসুমের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্ৰী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দেশে এটাই চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। তিনি আরও জানান,এই অবস্থা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে এবং এরপরে আরেকটি নিম্ন চাপের মুখে পড়বে দেশ। এর ফলে কনকনে ঠান্ডা এবং ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়কর অবস্থা। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ম আয়ের ছিন্নমূল মানুষ। কৃষকরা তাদের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কগ্ৰস্থ হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে সঊর্যএর দেখা মিলেছে। আর এর কারনে জনজীবনে দেখা দিয়েছে কিছুটা স্বস্তি। এর পর খেটে খাওয়া মানুষদেরকে তাদের কাজের সন্ধানে বের হতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলার শিক্ষা বিভাগ। অপরদিকে জেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলেছে।যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে দু’একজন হৃদয়বান ব্যক্তিকে জেলার দু-একটি জায়গায় শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। বেশি করে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে শীতবস্ত্র ও ত্রান সহায়তা নিয়ে এই মূহুর্তে এ জেলার অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কারন কাজ না পেয়ে এবং কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান এবার প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে ১৭ হাজার ৬’শ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ হাজার ৪’শ কম্বল পাওয়া গেছে। সেগুলি জেলার উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ কেজি করে ৪’শটি শুকনা প্যাকেট খাবার ৪’শ জনকে দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ঘনকুয়াশা ও বর্তমান শৈত্য প্রবাহের কারনে ধানের বীজতলা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, এবারের কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া ও ঘনকুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারনে এ জেলার কৃষকদের খুব একটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।