মোঃ ওসমান গনি (ইলি), কক্সবাজার: টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার বাঁকখালী নদীর মোহনায় থেকে জলদস্যু সর্দার বাদশাহ ও পাঁচ সহযোগিসহ আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় তৈরী এলজি, ১৪টি কার্তুজ, ৩টি ধারলো দা, ২টি স্মার্ট এবং ৮টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। ২৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার রাতে) তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত মাছ এবং জালও।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাট এলাকায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জেলেদের আহরিত মাছ, ট্রলারের মালামাল ডাকাতি ও জানমালের ক্ষতি করে আসছিল কতিপয় জলদস্যু সিন্ডিকেট। অসহায় জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জলদস্যুদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে মহেশাখালী এবং বাঁকখালী নদীর মোহনায় দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে জেলেদের লুণ্ঠনকৃত প্রায় ৬-৭ হাজার কেজি মাছ, জাল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি আগ্নেয়স্ত্র, ৩টি ধারালো অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মোবাইলসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-কুতুবদিয়া লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহর ছেলে মো. বাদশা, একই ইউনিয়নের মুসালিয়া শিকদার পাড়ার রহিম উল্লাহর ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম, একই উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেখা বিবির পাড়ার মো. ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন, সাহারুম শিকদার পাড়ার মো. ইউনুসের ছেলে মো. রাফি, পেচারপাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার নারিকলতলার (সেইলর কলোনী) আবু বক্করের ছেলে মো. আল-আমিন।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক আরো বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।