মোঃ কামাল হোসেন খাঁন, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: মেহেরপুরে শিয়াল ধরার ফাঁদে একটি বিশাল আকৃতির মেছো বাঘ ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় বাঘের থাবায় শিমুল নামের কসবা গ্রামের একজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি), রাতের কোন এক সময়ে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের খড়ের মাঠে। ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়াডের সাবেক সদস্য তৌহিদ হাসান লিলু মেম্বারের হাঁসের খামারে ধরা পড়ে বাঘটি।
খামারের মালিক লিলু মেম্বার জানায়, বেশ কিছুদিন যাবত হাঁসের খামার থেকে হাঁস কমে যাচ্ছিলো। ভেবেছিলাম হয়তো শিয়ালে নিয়ে আহার করছে এজন্য লোহার ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। হঠাৎ মঙ্গলবার ভোরে খামার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত মনিরুল ইসলাম বাঘের গর্জনে খামারে গিয়ে দেখেন একটি বাঘ খাঁচায় আটকা পড়েছে। পরে তিনার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। কি জাতের চিতা বাঘ, দাসা বাঘ, মেছো বাঘ এ নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনার পর বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানালেন এটা মেছো বিড়াল।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সকাল থেকে দুপুর অবধি বাঘটিকে একনজর দেখার জন্য দলে দলে শতশত মানুষের ঢল নামে এলাকায়। শিয়াল ধরার লোহার খাঁচায় আটকানো থাকলেও লোকজনের আনাগোনা দেখে বাঘটি গর্জন করছিলো।
এসময় খাঁচার সন্নিকটে যাওয়ায় খাঁচার ভিতর থেকে বাঘের থাবাতে শিমুল নামের একজন আহত হয়েছেন। তিনাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাঘ আটকের ঘটনা গাংনী বনবিভাগকে জানালে দুপুরের দিকে বনবিভাগের সহকারী কর্মকর্তা শাকিল পারভেজসহ আরো একজন কর্মকর্তা আসেন কসবা গ্রামে। এসময় তিনি বাঘটিকে মেছো বিড়াল বলে শনাক্ত করেন এবং নির্দিষ্ট একটি স্থানে সেটিকে অবমুক্ত করেন। বনবিভাগ কর্মকর্তা জানান, মেছো বিড়াল আমাদের দেশের সম্পদ। কখনও মেছো বিড়াল দেখলে তাকে মেরে না ফেলে বরং তাড়িয়ে দেবার জন্য এলাকাবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।