মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযানে ১৫০ বোতল বাংলা মদ উদ্ধার করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ।
আজ ১৩ ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১.৪৫ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী ও শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর উপজেলার গেট সংলগ্ন (রামচন্দ্রপুরপাড়া) নামক স্থানে লালজি বাশফোঁড় এর বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালতের এক অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে বাড়ির বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ সদস্যগণ আইন অনুযায়ী তল্লাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রাথমিক ভাবে কিছু পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে সরু একটি টানেল ধরে এগিয়ে গেলে সেখানে বিভিন্ন সফট ড্রিংসের বোতল পাওয়া যায়।
সবগুলো বোতল মিলে প্রায় ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) টি প্লাস্টিক বোতল হবে বলে জানান পুলিশ সদস্যগণ। বাংলা মদগুলো পেপসি, মোজো, সেভেন আপ, স্পিড সহ নানা ব্রান্ডের সফট ড্রিংসের বোতলে ঢোকানো হয়েছিল। এ সময় (১) শ্রী হৃদয় বাশফোঁড় (২১),পিতা: মৃত লাল জি বাশফোঁড়, সাং রামচন্দ্রপুরপাড়া এবং (২) সুজয় সরকার (১৮), পিতা: সুদর্শন সরকার, সাং গোসাইপাড়া, শেরপুর, বগুড়াগণকে হাতে নাতে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এগুলো সে নিজে সেবন করে ও বন্ধু বান্ধবের কাছে বিক্রি করে বলে জানায়।
এছাড়া সে দোষ স্বীকার ও মাফ করে দেয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকে অভিযুক্ত (১) শ্রী হৃদয় বাশফোঁড় (২১), পিতা: মৃত লাল জি বাশফোঁড়, সাং রামচন্দ্রপুরপাড়া এবং (২) সুজয় সরকার (১৮), পিতা: সুদর্শন সরকার, সাং গোসাইপাড়া, শেরপুর, বগুড়া। তবে অভিযুক্তের মা তিলকী রানী বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব জনাব সুমন জিহাদী এ সময় অভিযুক্তকে দোষী সব্যস্ত করে নয় মাসের কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা, অনাদায়ে আরো পনেরো দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান মাদকের বিরুদ্ধে তাদের এ যৌথ অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে উপজেলায় নানা ধরণের খেলাধুলা আয়োজন করা হচ্ছে।