মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পর্দা নামলো মঙ্গলবার ২০শে ফেব্রুয়ারি। সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলার শেষ হয়। মেলার পরিচালক বিবেক সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শেষ দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলমান রয়েছে। এর আগে বিকেল ৪টায় মেলা প্রাঙ্গণের দ্বিতীয় তলায় এক সমাপনী অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এতে উপস্থিত থাকেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে ২১ জানুয়ারি। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় এ আয়োজনের শুভ উদ্বোধন করেন। অন্যান্য বছরে ১লা জানুয়ারি থেকে এ মেলা শুরু হলেও এবার নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে গেছে। মাসব্যাপী এ মেলায় এবার সব মিলিয়ে ৩৩০টি স্টল ছিল।তবে সবচেয়ে আকর্ষণ ছিলো ইগলু ও পোলার আইসক্রিমের ষ্টলে, উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে সরেজমিনে গিয়ে।
এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি)। ইপিবি তথ্যমতে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে। (বিবিসিএফইসি) ৩য় বারের মতো বাণিজ্য মেলার আসর বসে। শীতের কারণে মেলার শুরুতে লোকসমাগম কম ছিল। তবে ক্রমান্বয়ে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ২৬শে জানুয়ারি থেকে পুরোদমে জমে উঠে মেলা। শুক্রবার ( ২রা ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (৯ ই ফেব্রুয়ারি) মেলায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে।
মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনও ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা ছিল। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করেছে।
এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড় ছিল। প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ছিল।