জাহাঙ্গীর খাঁন,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ জেলার সিমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুর এর মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। প্রতিদিন সিমান্তের ওপাড় থেকে এপাড়ে কাঁটাতার পেরিয়ে মাদক ও আগ্নে অস্ত্রের চালান আসার খবর পাওয়া গেলেও বর্তমানে রয়েছে তা শূন্যের কোঠায়। যেখানে মাত্র দেড় মাসে ১৭ খুন হয়ে আইনশৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছিল। যোগদান এর পর থেকেই তা নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। বর্তমানে সিমান্তে মাদক অস্ত্র কারবারী ও সন্ত্রাসীদের আতঙ্কের নাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম। পুলিশের প্রতিদিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসে চুরি ছিনতাই ডাকাতি চাঁদাবাজিসহ যে কোন ধরনের অপরাধ নির্মূলে রয়েছে পুলিশের বিশেষ তৎপরতা ও রমজান শেষে সাধারন মানুষকে ঈদুল ফিতর সুষ্ঠু সুন্দর এবং নির্বিঘ্নে উদযাপন করাতে বিট পুলিশ এর মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে পুলিশের বিশেষ নজরদারী। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম প্রতিবেদক কে জানান, সিমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরে প্রায় ১০ লক্ষ এর অধিক মানুষের বসবাস তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কে প্রতিদিন নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করতে হয়। এছাড়া সিমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অপরাধ প্রবনতার হার বেশি। মাদক অস্ত্র চোরাচালান এর মত অপরাধে যাবতজীবন কারাদন্ডসহ মৃত্যুদন্ডের বিধান যেনেও এই এলাকার অপরাধচক্রের হোতারা নিজেদের পাশাপাশি এই কাজে নারী শিশু কিশোরদেরও ব্যবহার করে। বর্তমানে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিসহ অপরাধের সাজা সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করায় পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এবং কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এইচ এম আব্দুর রকিব এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। দৌলতপুর থানায় চুরি ছিনতাই মাদক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে গত তিন মাসে পুলিশের বিশেষ অভিযান ও সাফল্য রয়েছে- থানায় মামলা হয়েছে ৭৪ টি এবং আসামী গ্রেফতার প্রায় দেড় শতাধিক, ফেন্সিডিল উদ্ধার ৩৮৫ বোতল, গাজা উদ্ধার ৬৬৬ কেজি ও ১৩১ টি গাছ, র্টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৩৬৬৪ টি, ইয়াবা ট্যাবলেট ৫৯০ পিচ, হেরোইন ০৪ গ্রাম উল্লেখ যোগ্য সাফল্য ছাড়াও গরু চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি চেষ্টা, অপহরন, চাঁদাবাজির মত অপরাধ কর্মকান্ড নির্মূল ও প্রতিরোধে পুলিশ রয়েছে জনগনের সাথে। এসময় তিনি আরো বলেন, একটি অশান্ত পরিবেশ ও কথায় কথায় সামান্য ঘটনা নিয়ে মানুষ হত্যা হতো এই এলাকায়। যোগদানের পর থেকে মানুষের মাঝে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছি। সেখান থেকে উপলব্ধি করেছি এখানে সাধারন ঘটনায় মানুষ হত্যা হয়। এই হত্যাকান্ডের পেছনে থাকে একটি চক্রান্তকারী গোষ্টি রয়েছে যারা পর্দার আড়ালে থেকে বার বার দৌলতপুর থানাকে অশান্ত করার চেষ্টা করে। মূলত এই চক্রান্তকারীদের চিন্থিত করার পর থেকে এবং পুলিশের সার্বক্ষনিক তৎপর থাকায় মানুষ হত্যার মতো ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা এখনও ঘটছে তা প্রতিহত এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করায় সব কিছু নিয়ন্ত্রনে আছে। দৌলতপুর প্রাগপুর ইউনিয়নের ৬০ উর্দ্ধ রহমত আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে অতিতের ন্যায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভালো রয়েছে। সাধারন মানুষ কর্ম করে পকেটে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারি। নতুন বাড়ি করতে গেলে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেয়া লাগেনা। কোথাও কোন সমস্যা তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের উপস্থিতি বলে দেয় সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভালো রয়েছে। এদিকে দৌলতপুর থানার আইনশৃংখলার অবনতি ঘটাতে একটি মহল তাদের অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সাধারন মানুষ ও সচেতন মহল আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অনৈতিক সুবিধা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি পুলিশের সকল কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।