রাকিব হোসেন,ঢাকাঃ রাজধানীর উত্তরায় চট্টগ্রাম টিম্বার মিলসের মালিক সাখায়াত হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের চাঁদা দাবি এবং জোরপূর্বক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এনে রাজমহল রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় রাজধানীর নাজিমউদ্দীন রোড বাংলাদেশ গণমাধ্যমকর্মী এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে রাজমহল রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছর ধরে রাজমহল রিয়েল এস্টেট সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করা হচ্ছে বিগতদিনে কোন ধরনের আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারোই অভিযোগ কিংবা মামলা বা সালিশি বিচারও হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় নির্মিত ফ্ল্যাটের দরজা ক্রয় করার জন্য পরিচয় হয় চিটাগং টিম্বার মিলসের মালিক ভূমিদূস্য সাখাওয়াতের সঙ্গে। প্রথমে তাদের কাছে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে প্রায় সময়ে আমাকে কু-প্রস্তাব দেন, এটা প্রত্যাখান করার কারণে কাল শত্রু হয়ে বিভিন্ন সময়ে অসাধু চাঁদাবাজদের দিয়ে হত্যার হুমকি এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ের নামে স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে দখলের চেষ্টা চালায় চিহ্নিত এই ভুমিদূস্য ও সন্ত্রাসী সাখাওয়াত হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, বজলুল রহমান, জুয়েল ও শফিকুল ইসলাম। গত ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক চলমান দেশ নামে একটি পত্রিকাসহ বেশ কয়েকজন অপেশাদার হলুদ সাংবাদিকদের দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতারক চক্ররা। ভুঁইফোড় পত্রিকায় পক্ষ বিপক্ষের বক্তব্যের পরিবর্তে ওই পত্রিকার সাংবাদিকরা নিজের মতামত এবং মনের মাধুরি দিয়ে লিখিছেন যা সাংবাদিকতার নীতি আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং জাতির কাছে হাস্যকর। ঘটনার সঙ্গে কোন ধরনের সত্যতার মিল নেই। এছাড়াও অসত্য মিথ্যা কাল্পনিক, ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে বিভিন্ন প্রচারিত অনুষ্ঠানের ভিডিও এনে তা প্রচার করে চরিত্র হননের চেষ্টাও করছে।
তিনি আরো বলেন, এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালত-১২ তে মামলা দায়ের করি এবং গত ৯ এপ্রিল তারিখ উত্তরা উত্তরখান থানা ও দক্ষিণখান থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছি, যার জিডি নং ৫১১। এসব অপরাধী প্রতারক চক্রদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন শরীফ।