মোঃ রায়হান জোমাদ্দার,স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে ঠাকুমার সাথে সুগন্ধা নদীতে গঙ্গা স্নানে গিয়ে স্কুলছাত্র আদিত্য চক্রবর্ত্তী নদীর স্রোতে তলিয়ে যায়। শনিবার (১৩এপ্রিল) সকাল ১১টায় কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটনা।
দূর্ঘটনার ৮তম দিনে রাত ৯ টায় নলছিটির ষাট পকিয়া বহরমপুর নামক স্থানে ভাসমান অবস্থায় স্কুলছাত্র আদিত্য চক্রবর্ত্তীর মরদেহটি স্থানীয় জনগন দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে নলছিটি থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এরপর রাত ১২ টায় নলছিটি পৌর শ্মশানে আদিত্যের শেষকৃত্য করাহয়।
১৩ এপ্রিল শনিবার থেকে নলছিটি ফায়ারসার্ভিস, বরিশাল ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল, কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল টানা ৩ দিন খোজাখুজি করেও ডুবে যাওয়া আদিত্যের সন্ধান করতে পারেনি। এরপর স্থানীয়রা ট্রলার নিয়ে মাইকিং করে সুগন্ধা নদীতে খোজাখুজি করেছিলেন। ৮ম দিনে আদিত্যের দেহ ফিরে পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
নিখোঁজ আদিত্য চক্রবর্তী নলছিটি পৌর এলাকার আদর স্টুডিও’র ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে। সে পৌরসভার বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে লেখা পড়া করে।
শনিবার সকালে ঠাকুমা সাথে পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গা স্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এসময় তার ঠাকুমা স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদিত্য নদীতে পরে যায়। ঠাকুমা তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তলিয়ে যায়।