মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় একাধিক টাকা আত্মসাতের মামলায় দম্পতি সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত ৪ জন আসামীদেরকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ। সম্প্রতি গতকাল বুধবার ২৬ জুন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ এর নির্দেশে অর্থ আত্মসাতের সাজা প্রাপ্ত ৪ জন পলাতক আসামীকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ এসআই মামুন এর নেতৃত্বে এসআই আতাউর, নুরুজ্জামান, আহসানুল কবির, স্বপন, এএসআই সিরাজুল ইসলাম সহ ৮ জনের চৌকশ দল। পরবর্তীতে সাজা প্রাপ্তদের আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ৮ কৃতদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসের এলএ শাখার সাবেক কর্মচারি সাজা প্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম দম্পতি সহ জহির উদ্দীন বুলবুল ও মহসিন আলী। সেসন ৭৩০/২০২২ নং মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মরহুম সৈয়দ নুর হোসেন বাবলু পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন সাবেক সেচ পরিদর্শক। তিনার জীবদ্দশায় রফিকুল ইসলাম বাড়ী বিক্রির কথা বলে মুল দলিল জমা দিয়ে ৩০০/-(তিনশত) টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বায়নানামা লিখে জমি বিক্রির অঙ্গীকার করে ২৩,০০,০০০/-(তেইশ লক্ষ) টাকা গ্রহণ করে টাকার বিপরীতে তার ব্যবহৃত একটি চেক প্রদান করে। উক্ত হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার প্রদান করেন। টাকা না পেয়ে মরহুম সৈয়দ নুর হোসেন বাবলু সে সময়ে বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। আসামী পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১(এক) বৎসরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং চেকে বর্ণিত সমপরিমান অর্থ দন্ডে দন্ডিত করে। রফিকুল ইসলাম পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। রফিকুল ইসলামের আরোও তিনটি পৃথক অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। সেই সাথে রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অর্থ আত্মসাতের মামলা থাকায় তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সিআর নং ২৮/২০১৯ মামলায় আজিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৩,০০,০০০/-(তের লক্ষ) টাকা আত্মসাতের মামলায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে জহির উদ্দীন বুলবুল কে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত গত ৩১/০৫/২০২২ তারিখে বিজ্ঞ যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালত, ঠাকুরগাঁও তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১(এক) বৎসরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং চেকে বর্ণিত সমপরিমান অর্থ দন্ডে দন্ডিত করে। আসামী পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। পরবর্তীতে আসামী জহির উদ্দীন বুলবুল গ্রেফতার হলে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ২(দুই) মাসের জামিন নেয়। নির্দিষ্ট ২(দুই) মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আবারোও পলাতক থাকেন তিনি। অন্য একটি পৃথক মামলায় মহসিন আলী নামের আরেক জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় মোট ৪ জনকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের ঠাকুরগাঁও জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে যাওয়া ৮ সদস্য বিশিষ্ট চৌকশ পুলিশ দলের এসআই আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন মামলা ভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের ধরতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলাম। পরবর্তীতে তাদের লোকেশন অনুসন্ধান করে গতকাল ২৭ জুন বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।