নিজের প্রতিবেদকঃ স্বৈরাচারী অক্টোপাসের হাত থেকে মুক্ত হওয়ায় “বাংলাদেশ জামাত ইসলামি ভোলা পৌর শাখা ” বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দনে শুকরিয়া সমাবেশ করেন ।
সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ জাতির ঘাড়ে চেপে বসা স্বৈরাচারী অক্টোপাস ভারতের তাবেদার হাসিনা সরকারকে উৎখাতে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন , ছাত্র-জনতা ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান এবং আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার নিকট নতশীরে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন ।
জামাত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অষ্টম বীর শ্রেষ্ঠ আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে শহীদ হওয়া সকল বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা পঙ্গু হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন আর যারা গ্রেফতার হয়ে সদ্য মুক্তি পেয়েছেন তাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করেন, এবং এ আন্দোলনে যে সমস্ত পুলিশ সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন ।নেতৃবৃন্দ বলেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ছাত্র শিবির প্রথম থেকেই এই স্বৈরাচারী অক্টোপাস জালিম সরকারের জুলুম অত্যাচারে নিষ্পেষিত হয়ে আসছিল এবং স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক আন্দোলন করে আসছিল সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ও জানাতে ইসলামী সর্বশক্তি দিয়ে এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা প্রকাশ করেছেন এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন অবশেষে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা স্বৈরাচারী অক্টোপাসের হাত থেকে আমাদেরকে স্বাধীন করেছেন। বক্তারা বলেন জাতির এই অভিভাবক শূন্য অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন এমতাবস্থায় কিছু দুর্বৃত্ত চাঁদাবাজি এবং লুটতরাজ করার গিন্ন প্রচেষ্টায়রত, বাংলাদেশ জামাতের প্রতিটি কর্মী এই সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং জাতির এই ক্লান্তি কালে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, জামাত নেতৃবৃন্দ বলেন বাংলাদেশ ে জন্মগ্রহণ করা প্রতিটি নাগরিকই সমান অধিকার পাওয়ার হকদার অতএব কারো সাথে কোন রকম জুলুম করতে দেয়া যাবে না এবং করতে দেয়া হবে না। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের কোন সদস্যের কোনরকম ক্ষয়-ক্ষতি যেন করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকার জন্য তাদের সকল নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে সাথে তারা দাবি করেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করেএকটি স্বাধীন স্বতন্ত্র নিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের শেবকে পরিণত করতে হবে, কোন একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার বাহিনীতে পরিণত হতে দেওয়া যাবে না। বক্তারা রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্র ভারতের প্রতি অনুরোধ করেন আপনারা কোন একজন ব্যক্তির বন্ধু না হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বন্ধু হন কোন একজন ব্যক্তির পাশে না দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ান কোন একজন ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব না করে বাংলাদেশ ও তার জনগণের সাথে বন্ধুত্ব করুন তাহলে বাংলাদেশও আপনাদেরকে শত্রু না ভেবে বন্ধু ভাববে।
জামাত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন বাংলাদেশ জামাত ইসলামী প্রতিশোধ পরানতায় বিশ্বাসী নয় বন্ধুত্ব করে বুকে টেনে নিতে বিশ্বাসী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই বাংলাদেশের জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি নাগরিকই সমান । পরিশেষে তারা অত্যাচারী জালেম স্বৈরাচারী সরকারের হাতে শহীদ হওয়া জামাতের সকল নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সমাবেস সমাপ্ত করেন।
আজ বুধবার ৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে তিনটায় ভোলা সদর উপজেলার ভোলা সদর রোডের কেজাহান মার্কেটের সামনে পৌর সেক্রেটারি জনাব রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশে জনতার উৎসের গড়া ভিড়ে সমাবেশ যেন জনসমুদ্রের রূপ নেয়, সমাবেশ শেষে সালাতুল আসরের নামাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশ জামাত ইসলামি ভোলা পৌর শাখা খলিফা পট্টি জামে মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করে ভোলা নতুন বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ করেন ।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিস উসসুরার সদস্য ভোলা জেলা আমির মাস্টার জাকির স্যার, কেন্দ্রীয় মজলিস উস সূরার সদস্য ভোলা জেলা সেক্রেটারি কাজী মোহাম্মদ হারুন, ভোলা সদর আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফফার এবং জেলা নায়েবে আমির বিশিষ্ট সমাজসেবক শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।